ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের আইন-সভায় প্রথমবারের মতো নিয়োগ পেয়েছেন একজন ইমাম। এ নিয়োগে প্রথম ইতিহাসে গড়ে মার্কিন রাজ্যসভার সেই সম্মানজনক পদে আসীন হয়ে অনন্য নজির গড়লেন মোহাম্মদ ইয়াসির খান। ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যসভার স্পিকার অ্যান্থনি রেন্ডন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন,গত ৭ ডিসেম্বর রাজ্যসভার প্রথম ইমাম হিসেবে ইয়াসির খানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেছেন,`ইমাম ইয়াসির খান ক্যালিফোর্নিয়ার ক্রমবর্ধমান বৈচিত্র্যের প্রতিনিধিত্ব করছেন। আমি আমার জেলায় মুসলিম সম্প্রদায়ের বৃদ্ধি দেখেছি এবং ধর্মীয় ও নাগরিক উভয় নেতাদের ঘনিষ্ঠ হয়েছি। তাদের মতো ইয়াসির খানও ক্যালিফোর্নিয়ার আধ্যাত্মিক এবং নাগরিক প্রাণশক্তিতে অবদান রাখার প্রবল ইচ্ছা পোষণ করেন। তিনি ইতিমধ্যে বিভিন্ন উপায়ে সেটি করেছেন।’
ইয়াসির খান গত ছয় বছর স্থানীয় কাউন্টি কারাগার,শেরিফ অফিস ও বিভিন্ন হাসপাতালে ইমাম হিসেবে কাজ করেছেন। প্রতিষ্ঠা করেছেন আল-মিসবাহ নামে একটি অলাভজনক সংস্থা।
আল-মিসবাহ স্যাক্রামেন্টো ফুড ব্যাংকের সঙ্গে যৌথভাবে ক্যালিফোর্নিয়ার রাজধানীতে খাদ্য বিতরণের কাজ করছে। সংস্থাটি স্বল্প আয়ের পরিবারগুলোকে সচ্ছল করতে গাড়ি দিয়েও সাহায্য করে থাকে।
ক্যালিফোর্নিয়ার রাজ্যসভায় প্রথম ইমাম হিসেবে নিয়োগ প্রসঙ্গে ইয়াসির খান বলেন, ‘আল্লাহ আমাকে এখানে এনেছেন এবং আমি এই ভূমিকায় নির্বাচিত হওয়ায় অত্যন্ত সম্মানিত ও কৃতজ্ঞ। আশা করি,এটি দেশের অন্য ইমাম ও ইসলামী নেতাদের পদপ্রাপ্তির একটি পদক্ষেপ হবে।
রাজ্যসভায় ইমামের কাজ মূলত প্রতিটি অধিবেশন শুরুর আগে দোয়া পাঠ করা। তবে ইয়াসির খানের আশা,এটি মুসলিমদের অন্য সম্প্রদায়গুলোর আরও কাছাকাছি আসার সুযোগ করে দেবে।
কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনসের (সিএআইআর)স্থানীয় নির্বাহী পরিচালক বাসিম এলকারা বলেন,‘আমেরিকান মুসলিমরা আমাদের সমাজের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।এই নিয়োগ সেটিরই বার্তা। ট্রাম্পের প্রশাসনের অধীনে গত চার বছরে মুসলিমরা এত ঘৃণার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও আমাদের সম্প্রদায় দৃঢ় রয়েছে এবং সমাজে সব দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।’