আদালতের রায়ে বলা হয়, বাবরি মসজিদ ধংস পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। এটি পরিকল্পিত এর পক্ষে তথ্যপ্রমাণও যথেষ্ট নয় বলে জানায় আদালত। ফলে সসম্মানে মুক্তি দেওয়া হল সমস্ত অভিযুক্তকেই।
জানা গেছে, বাবরি ধ্বংসে রায় প্রায় ২০০০ পৃষ্ঠার। ২ সেপ্টেম্বর শুরু হয় রায় লেখার কাজ। বুধবার সকাল ১১টা ৫০ মিনিট নাগাদ সেই রায় পড়তে শুরু করেন বিচারক সুরেন্দ্রকুমার যাদব। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদই আদালত পৌঁছে গিয়েছিলেন বিচারক সুরেন্দ্রকুমার যাদব। অভিযুক্ত ৩২ জনের মধ্যে মোট ২৬ জন অভিযুক্ত যোগ দেন এজলাসে। তবে বয়সজনিত কারণে আসতে পারেননি লালকৃষ্ণ আদবানি ও মুরলিমনোহর জোশি। তারা যোগ দেন ভিডিও কনফারেন্সে। করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে আসতে পারেননি বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী। আসেননি রাম মন্দির ট্রাস্টের প্রধান মোহান্ত নৃত্যগোপাল দাসও।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বরের হামলা চালিয়ে ধ্বংস করা হয় শতাব্দী প্রাচীন বাবরি মসজিদ। এই ঘটনার জেরে শুরু হয় হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা। নিহত হন প্রায় দুই হাজার জন। ২৮ বছর পর বুধবার মসজিদ ধ্বংসের মামলার রায় ঘোষণা করল লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত। ওই মামলায় মোট ৪৯ জন অভিযুক্তের মধ্যে ১৭ জন মারা গেছেন ।