বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস আগামী মাস থেকে দেশের বাজারে বেসরকারিভাবে করোনাভাইরাসের টিকা বিক্রি শুরু করতে পারে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছেন বেক্সিমকোর চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) রাব্বুর রেজা। রাব্বুর রেজার বরাত দিয়ে গত মঙ্গলবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের টিকাদান কর্মসূচিতে দেওয়ার বাইরে বাজারে বিক্রির জন্য ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ৩০ লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কিনছে এই ফার্মাসিউটিক্যালস। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই টিকার প্রতি ডোজের জন্য সেরাম ইনস্টিটিউটকে তাদের দিতে হবে আট ডলার করে। এই দাম বাংলাদেশ সরকারকে দেওয়ার জন্য সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে বেক্সিমকো যে টিকা আনছে, তার দামের প্রায় দ্বিগুণ। বাংলাদেশ সরকারের গণ টিকাদান কর্মসূচির জন্য বছরের প্রথমার্ধে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করবে বেক্সিমকো। রাব্বুর রেজা বলেছেন, এই মাসের শেষ দিকেই সরকার ও বাজারে বিক্রির জন্য টিকা সরবরাহ শুরু করবে সেরাম ইনস্টিটিউট। প্রতি ব্যক্তিকে করোনাভাইরাসের এই টিকার দুটি ডোজ নিতে হবে। মাঝে কয়েক সপ্তাহের বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী মাস থেকেই বাংলাদেশের বাজারে বেক্সিমকো টিকা বিক্রি শুরু করতে পারে। প্রতি ডোজের জন্য দাম রাখা হবে এক হাজার ১২৫ টাকার মতো (১৩.২৭ ডলার) করে। এরই মধ্যে তারা সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে ১০ লাখ ডোজ টিকার জন্য চুক্তি করেছে, এই পরিমাণ আরও ২০ লাখ ডোজ বাড়তে পারে। ভারত থেকে টিকা এনে বাংলাদেশে সরবরাহের জন্য গত আগস্টে সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় দেশের ওষুধ খাতের শীর্ষ কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। সেই চুক্তি অনুযায়ী, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস বাংলাদেশে সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত ভ্যাকসিনের ‘এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর’। রাব্বুর রেজা বলেন, সেরামের বাইরে বায়োলোজিক্যাল ই ও ভারত বায়োটেকের মতো অপর ভারতীয় টিকা উৎপাদকদের সঙ্গেও প্রাথমিক আলোচনা করেছে বেক্সিমকো। তবে বর্তমানে সেরামই আমাদের অংশীদার এবং তাদের সঙ্গেই আমরা কাজ চালিয়ে যাব। এটাই আমাদের লক্ষ্য। তিনি আরও বলেন, ‘সরকার যদি আরও টিকা চায় তাহলে আমরা অন্যান্য টিকার বিষয়েও আলোচনা করতে পারি যেগুলো নিয়ে সেরাম কাজ করছে, যদি সরকার অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার বাইরে কোনো টিকা চায়।’ বিশ্বের শীর্ষ টিকা উৎপাদক সেরাম ইনস্টিটিউট ভারত সরকারের কাছে ১০ কোটি ডোজ টিকা বিক্রির পরিকল্পনা করেছে, যেখানে প্রতি ডোজের দাম রাখা হবে ২০০ রুপি (২.৭৩ ডলার) করে। এর পরে আরও দরকার হলে দাম সামান্য বাড়ানো হতে পারে। ভারত সরকার এরই মধ্যে ১ কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকার জন্য সেরামের সঙ্গে চুক্তি করেছে। নয়াদিল্লির অনুমোদন পেলে ভারতের বাজারে ১ হাজার রুপি (১৩.৬৬ ডলার) করে প্রতি ডোজ টিকা বিক্রি করতে চায় সেরাম ইনস্টিটিউট।