মুসলিম নারীদের হিজাব পরিধানে নিষিদ্ধের আইন প্রত্যাখ্যান করেছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জিন ক্যাসটেক্স। এর কারণ হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষ ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্রে শ্রদ্ধাবোধে ভারসাম্য বজায় রাখতে সরকার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আইনিভাবে সংখ্যালঘু মুসলিম নারীদের মুখ ঢাকায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব পেশ করেন ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইম্যানুয়েল ম্যাখোঁর দলের একজন সদস্য। ম্যাখোঁর পুননির্বাচিত হওয়ার পদক্ষেপ হিসেবে ইসলামী চরমপন্থারোধে বিতর্কিত আইন করার সময় এ প্রস্তাবও উত্থাপন করা হয়।
সোমবার নারীদের হিজাব পরিধানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সংশোধনী আইন বাতিল করা হয়। অবশ্য নিষেধাজ্ঞা আইনে ম্যাখোঁর দলের জ্যেষ্ঠ নেতা ও ডানপন্থী নেতা ম্যারিন লি পেনের সমর্থন ছিল।
করোনা মহামারি ও সন্ত্রাসীর হাতে শিক্ষকের শিরশ্ছেদের পর আধুনিক ফরাসি সমাজের প্রতীক হিসেবে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁর কাছে পর্দা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তাই ম্যাখোঁ চরমপন্থার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই অব্যাহত রাখেন।
আর তাই পুলিশকে বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে অবৈধ অর্থের অভিযোগে মসজিদ বন্ধ করা হয়। ফলে ফ্রান্সকে তুরস্কের মতো দেশগুলোর সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়। অবশেষে মুসলিমদের চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই হিসেবে সহনশীলতা, আইনের শাসন নিয়ে বিতর্ক শুরু করে।
২০০৪ সালে ফরাসি সরকার স্কুলে মুখ ঢাকাসহ দৃশ্যমান ধর্মীয় পোশাক নিষিদ্ধ করেছিল। এর আগে ২০১০ সালে বোরকা ও নিকাবসহ মুখঢাকা পোশাক নিষিদ্ধ করেছিল। সূত্র : ব্লুমবার্গ
পিডিএসও/ জিজাক