Sunday, January 26, 2025
No menu items!

আমাদের মুসলিমউম্মাহ ডট নিউজে পরিবেশিত সংবাদ মূলত বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সমাহার। পরিবেশিত সংবাদের সত্যায়ন এই স্বল্প সময়ে পরিসরে সম্ভব নয় বিধায় আমরা সৌজন্যতার সাথে আহরিত সংবাদ সহ পত্রিকার নাম লিপিবদ্ধ করেছি। পরবর্তীতে যদি উক্ত সংবাদ সংশ্লিষ্ট কোন সংশোধন আমরা পাই তবে সত্যতার নিরিখে সংশোধনটা প্রকাশ করবো। সম্পাদক

হোমদাওয়া৩০০০ বছরের প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় ১৭০ জনের অধিক ফেরাউন রাজত্ব করেছেন

৩০০০ বছরের প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় ১৭০ জনের অধিক ফেরাউন রাজত্ব করেছেন

৩০০০ বছরের প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় ১৭০ জনের অধিক ফেরাউন রাজত্ব করেছেন।

সম্পদের অহংকার আর ক্ষমতার দম্ভে অন্ধ হয়ে তারা ভেবেছিলেন, এই অর্থ সম্পদ আর ক্ষমতা দুনিয়াতে তাদের অমর করে রাখবে। তারা ভেবেছিলেন, পাথরে খোদাই করা তাদের ভাষ্কর্যগুলো তাদের অমরত্ব দান করবে, অনাদি অনন্তকাল পৃথিবীর মানুষ তাদের নাম মনে রাখবে।

বাস্তবতা হচ্ছে, গুটি কয়েক ইতিহাসবিদ ছাড়া এই ১৭০ জন ফেরাউনের নাম কেউই জানেনা। আমরা শুধু একজন ফেরাউনকেই মনে রেখেছি। সেটাও আবার তাওরাত, ইঞ্জিল আর কুরআন মাজীদের কারনে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা চেয়েছেন বলে।

এখন প্রশ্ন হলো, মানুষ কেনো জেনে বুঝে এই নশ্বর পৃথিবীতে অমরত্ব প্রত্যাশা করে?

উত্তরটা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা দিয়েছেন সুরাতুল-হুমাযা’য়। দুই ধরনের মানুষের অপরাধ বর্ননা করা হয়েছে এই সুরা’য়।

এক – পিছনে গীবতকারী ও জনসমুক্ষে মানুষকে লাঞ্চনা প্রদানকারী হুম্মায আর লুম্মাযদের অপরাধ।

আর দুই – অমরত্ব প্রত্যাশী ক্ষমতাবান সম্পদশালী পথভ্রষ্ট মানুষের অপরাধ।

প্রত্যাশার চাইতে অধিক সম্পদ আর ক্ষমতার দম্ভ কখনো কখনো অহংকারী মানুষকে সীমালঙ্ঘনকারী বানিয়ে দেয়। আর ধীরে ধীরে তাকে ঠেলে দেয় অনিবার্য ধ্বংসের মুখে।

তখন সেই অনিবার্য বিপর্যয় রোধ করতে, এমন কোন কাজ নেই যা সে করে না। সে তার অপরাধগুলোর কথা ভাবে। অবচেতন মনে হলেও সে উপলব্ধি করে যে, আখেরাতে, ন্যায় বিচারের দিনে, তার মুক্তির কোন আশা নেই। শয়তানের ওয়াসওয়াসায় আশাহত হয়ে সে তওবার কথা বেমালুম ভুলে যায়।

আর যদিও সে তওবাহ করে, তার তওবাহ তখন নিছক মন্ত্রপাঠ, “আমি তওবাহ করছি” – এমন একটি অসার বাক্য ছাড়া আর কিছুই না। সে তওবার সাথে না থাকে আল্লাহর পথে ফিরে আসার কোন প্রচেষ্টা, না থাকে অন্তরের কোন সম্পর্ক।

ধীরে ধীরে তার অন্তর প্রশান্তি হারায়। এক ধরনের অস্থিরতা তাকে দিনরাত তাড়িয়ে ফেরে। কি করি, কি করি? কি করে মানুষের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকি? কি করে মরেও অমর হতে পারি এই দুনিয়ায়?

মানুষ তখন নিজের নামে বিশাল বিশাল মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন, স্মারকস্তম্ভ, স্মৃতি চিহ্ন, স্মৃতি সৌধ ইত্যাদি গড়ে তোলে।

মূর্তি ভাষ্কর্য তৈরী করে সে অমরত্ব অর্জন করতে চায়। নিজেকে সে পরম পূজ্য মনে করে, নিজেকে উপাসনা আর স্তুতি বাক্যের যোগ্য মনে করে। এভাবেই নশ্বর পৃথিবীতে সে অমর হয়ে থাকতে চায়।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা উপহাসের সাথে তাদের এই খায়েস বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন,

أعوذ بالله من الشيطان الرجيم

يَحۡسَبُ أَنَّ مَالَهُۥٓ أَخۡلَدَهُۥ

“তারা ভাবে, অর্থ-সম্পদ (দুনিয়ার বৈভব) তাকে অমর করে রাখবে!”

আশেপাশে তাকিয়ে দেখেন, এটাই কি বাস্তবতা নয়?

অতঃপর আল্লাহ রাব্বুল-আ’লামীন সেই সব মানুষকে আরো একটা সুযোগ দেবার জন্য সতর্ক করে বলেন,

كَلَّاۖ لَيُنۢبَذَنَّ فِى ٱلۡحُطَمَةِ

“কক্ষনো না, কখনোই না! (তাদের এ প্রত্যাশা কখনোই পূরন হবার না, তাদের এ প্রত্যাশা দুরাশায় পর্যবসিত হবে), তাদেরকে অবশ্যই (চরম অপমান আর তুচ্ছতাচ্ছিল্যের সাথে) হুতামা’য় ছুড়ে ফেলা হবে। “

وَمَآ أَدۡرَىٰكَ مَا ٱلۡحُطَمَةُ

“আর তোমরা কি জানো হুতামাহ কি?”

نَارُ ٱللَّهِ ٱلۡمُوقَدَةُ
“আল্লাহর প্রজ্জ্বলিত আগুন!”

কি ভীষণ ভয়ংকর সতর্কবার্তা! সম্পূর্ণ কুরআন-মাজীদে এই একটি আয়াতেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা জাহান্নামের আগুনকে “আল্লাহর আগুন” বলে অভিহিত করেছেন। যে আগুন হুতামায় প্রজ্জ্বলিত থাকবে।

সব আগুনইতো আল্লাহর তৈরী। তাহলে কেন হুতামা’র আগুনকে বিশেষভাবে “আল্লাহর প্রজ্জ্বলিত আগুন” বলে অভিহিত করা হলো। কি তার বিশেষত্ব? এ আগুনের বিশেষত্ব অনুধাবন করা কি খুবই কঠিন কিছু? বিশেষ বিশেষ অপরাধীদের জন্যই বিশেষভাবে প্রজ্জ্বলিত সে আগুন।

ٱلَّتِى تَطَّلِعُ عَلَى ٱلۡأَفۡئِدَةِ
যা (তাদের) হৃদয়কে গ্রাস করবে।

إِنَّهَا عَلَيۡهِم مُّؤۡصَدَةٌ
নিশ্চয়ই তা তাদেরকে পরিবেষ্টন করে রাখবে,

فِى عَمَدٍ مُّمَدَّدَةٍۢ
দীর্ঘায়িত স্তম্ভসমূহে।

এ আগুন তাদেরকে অমরত্ব দেবে, অনন্তকাল তাদেরকে পরিবেষ্টন করে রাখবে, তাদের অন্তরকে পুড়াবে, কিন্তু নিঃশেষ করবে না। পুড়াতেই থাকবে, পুড়াতেই থাকবে।

ওয়াল্লাহু আ’লামু! ফালিল্লাহিল-হা’মদ!

না’উজুবিল্লাহ!
আল্লাহুম্মা, ইয়া জুল জালালি ওয়াল ইকরাম, ইয়া হান্নান, ইয়া মান্নান, আজিরনা মিনান-নার বিরহমাতিকা ইয়া আর-হামার-রহীমীন!

কুরআনকে কেন এত ভালবাসি? এই সকল বস্তুনিষ্ঠ, বাস্তবসম্মত সুস্পষ্ট হৃদয়গ্রাহী সত্য কথনের জন্যই কুরআনকে এত ভালবাসি।

আল্লাহ রাব্বুল-আ’লামীন আমাদের নিজেদের আত্মশুদ্ধি অর্জনের তৌফিক দান করুন। ওয়ামা তৌফিকি ইল্লাহ বিল্লাহ।

[শেয়ার করেন, কপি করেন, আমি কিছু মনে করবো না। ইন-শা-আল্লাহ, একজনকে হলেও জানিয়ে দেন। একটা মানুষও যদি সত্যটা উপলব্ধি করে, সঠিক পথে ফিরে আসে, তাতেই বা কম কি? আর কেউ না ফিরলেও ক্ষতি নেই। আমাদের কর্তব্য ছিল সত্যটা জানিয়ে দেয়া, প্রচার করা, জানিয়ে দিলাম। এখন যার ইচ্ছা সে চিন্তা করবে। যার অন্তর মরে গেছে, সে ঘুমিয়ে থাকবে।]

আপনাদের ভাই
সোহেল সারোয়ার
১২ই ডিসেম্বর ২০২০

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

1 × 4 =

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য