Thursday, October 3, 2024
No menu items!

আমাদের মুসলিমউম্মাহ ডট নিউজে পরিবেশিত সংবাদ মূলত বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সমাহার। পরিবেশিত সংবাদের সত্যায়ন এই স্বল্প সময়ে পরিসরে সম্ভব নয় বিধায় আমরা সৌজন্যতার সাথে আহরিত সংবাদ সহ পত্রিকার নাম লিপিবদ্ধ করেছি। পরবর্তীতে যদি উক্ত সংবাদ সংশ্লিষ্ট কোন সংশোধন আমরা পাই তবে সত্যতার নিরিখে সংশোধনটা প্রকাশ করবো। সম্পাদক

হোমদৈনন্দিন খবরপাকিস্তানের আদালত ধর্মনিন্দার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক খ্রিস্টানকে খালাস দিয়েছে

পাকিস্তানের আদালত ধর্মনিন্দার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক খ্রিস্টানকে খালাস দিয়েছে

লাহোরের নিম্ন আদালত কর্তৃক ধর্মনিন্দার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে, সাওয়ান মসিহ গত ছয় বছর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে কারাদণ্ডে ছিলেন।

ইসলামাবাদ- পাকিস্তান পাকিস্তানের একটি আপিল আদালত ধর্মনিন্দার অভিযোগে প্রায় সাত বছর কারাভোগ করা এক খ্রিস্টানকে খালাস দিয়েছে । ধর্মনিন্দার এই ঘটনার জের ধরে পাকিস্তানে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছিল। ২০১৩ সালে লাহোর শহরের খ্রিস্টান-সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে ১২০ টিরও বেশি বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছিল বিক্ষুব্ধ জনতা ।

২০১৩ সালে পূর্ব পাকিস্তানের নগরীর এক মুসলিম ব্যক্তির সাথে তর্কের ঘটনাকে কেন্দ্র করে, ধর্মনিন্দার অভিযোগে ৪০ বছর বয়সী সাওয়ান মসিহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

মঙ্গলবার লাহোর হাইকোর্টের দুই সদস্যের বেঞ্চ, পরবর্তী তারিখে খালাস জারির কারণগুলির বিবরণসহ একটি সম্পূর্ণ বিচার-নিষ্পত্তির মাধ্যমে মসিহকে সমস্ত অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছে।

২০১৪ সালে মসিহকে পাকিস্তানের কঠোর ধর্মনিন্দা আইনে একটি নিম্ন আদালত দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করেছিল। আদালত তাকে বিশ্বনবী মুহাম্মাদ (সাঃ)-কে অপমান করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। যেটি পাকিস্তানের আইনে বাধ্যতামূলক মৃত্যদণ্ড বহাল করে।

ধর্মনিন্দা পাকিস্তানের একটি আবেগপূর্ণ বিষয়। যেখানে দেশের কঠোর আইন, ইসলাম, এর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এবং পবিত্র গ্রন্থকে অপমানকারী, পাশাপাশি ধর্মের বিরুদ্ধে অন্যান্য লঙ্ঘনকারীকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে।

এই অপরাধগুলি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে পারে। তবে, ক্রমবর্ধমানভাবে বিক্ষুব্ধ জনতা এবং বিভিন্ন দল বিষয়টি নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। আল-জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯০ সাল থেকে ধর্মনিন্দার অভিযোগের সাথে জড়িতে উচ্ছৃঙ্খল জনতার ও লক্ষ্যবস্তু হামলায় কমপক্ষে ৭৭ জন নিহত হয়েছেন।

এ ধরনের আক্রমণ সর্বশেষ জুলাই মাসে পেশোয়ারের উত্তর-পশ্চিম শহরে হয়েছিল। যেখানে ধর্মনিন্দার অভিযোগে অভিযুক্ত এক ব্যক্তির মামলার শুনানির সময় আদালতে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।

২০১৩ সালে, মসিহের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশের একদিন পর, একদল উচ্ছৃঙ্খল জনতা লাহোরের বাদামি বাঘ অঞ্চলে অবস্থিত তার খ্রিস্টান-সংখ্যাগরিষ্ঠ জোসেফ কলোনিতে আক্রমণ করেছিল। যা ধর্মনিন্দা আইনকে ঘিরে সহিংসতার সবচেয়ে খারাপ ঘটনার একটি ছিল।

লাঠি, পাইপ এবং পাথর সহ কয়েকশ প্রতিবাদকারী  কলোনিতে আগুন দেওয়ার আগে তা দখল করে নিয়েছিল। ফলে, সেদিন একটি গির্জা এবং বেশ কয়েকটি দোকান ছাড়াও ১২০ টিরও বেশি বাড়ি পুড়ে গিয়েছিল।

২০১৭ সালে, অগ্নিসংযোগের জন্য বিচারের অধীনে থাকা ১১৫ জন সন্দেহভাজনকে প্রমাণের অভাবে লাহোরের একটি আদালত খালাস দিয়ে দিয়েছিল।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

16 + seven =

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য