হেফাজতে ইসলামের পর এবার আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বাংলাদেশও মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে অবমাননার জন্য ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁকে নিঃশর্ত ক্ষমতা চাইতে বলেছে। অন্যথায় বাংলাদেশকে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে ফ্রান্সের দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়াসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
এর আগে ২ নভেম্বর ঢাকায় আরেক বিক্ষোভ-সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীও একই দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, মহানবী (সা.)-কে অবমাননার জন্য ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে মুসলিম বিশ্বের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। যত দিন ক্ষমা চাইবে না, তত দিন পর্যন্ত ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত রাখতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকায় ফ্রান্স দূতাবাস বন্ধ করতে হবে।
আজ শনিবার সকালে রাজধানীতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের চেয়ারম্যান শায়খুল হাদিস কাজী মঈনুদ্দিন আশরাফী এ দাবি জানান। তিনি বলেন, মহানবীর (সা.) অপমান কোনো মুসলমান সহ্য করবে না। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ও সে দেশের পত্রিকা শার্লি এবদোকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। তা না হলে সংসদে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পাস করতে হবে, ফরাসি পণ্য বর্জন করতে হবে, ধর্ম অবমাননার দায়ে ফ্রান্স সরকারে বিরুদ্ধে জাতিসংঘে নিন্দা প্রস্তাব আনতে হবে।
মঈনুদ্দিন আশরাফী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশে বলেন, ফ্রান্সের মুসলমানদের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধ করে সে দেশের মসজিদগুলো খুলে দিতে হবে। এ ব্যাপারে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থাসহ (ওআইসি) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে জোরালো ভূমিকা নিতে হবে।
সমাবেশ শেষে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে একটি মিছিল বের হয়ে পল্টন মোড়, বিজয়নগর, কাকরাইল, নয়াপল্টন, ফকিরাপুল, দৈনিক বাংলা মোড় হয়ে আবার বায়তুল মোকাররমে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে বিক্ষোভকারীরা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর ছবিসংবলিত কুশপুত্তলিকায় আগুন ধরিয়ে দেয়।
এ কর্মসূচিকে ঘিরে সকাল থেকেই নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর এলাকায় জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটসহ আশপাশের এলাকায় নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের নির্বাহী চেয়ারম্যান আল্লামা আবদুল বারী জেহাদী, নির্বাহী মহাসচিব মুফতি আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব আল্লামা এম এ মতিন, স্থায়ী কমিটির সদস্য স উ ম আবদুস সামাদ এবং এ কে এম মাহবুবুর রহমান, সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি হাফিজুর রহমান, দক্ষিণের সভাপতি কাজী আবদুল আলিম রেজভী প্রমুখ।