আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য। সেই আলাপ ভিন্ন।
তবে মানুষের মধ্যে তিনি পুরুষ ও নারীকে সৃষ্টি করেছেন উভয়ের থেকে ভিন্ন ভিন্ন কাজ আদায়ের জন্য। পুরুষের স্পেসিফিক কাজ প্রোভাইড এন্ড প্রোটেকশন। নারীকে যেকাজের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে সেটা হচ্ছে বাচ্চা জন্মদান এবং লালন পালন।
নারীবাদ এর বিভিন্ন সবক রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম
সবক হচ্ছে নারীর মাতৃত্বকে ক্রিমিনালাইজ করা এবং সেটাকে ছোট করে দেখা এভাবে যে, মেয়েদেরকে কী খালি বাচ্চা জন্ম দেওয়ার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে?
অথচ মেয়েদের জীবনে মোস্ট ইম্পরট্যান্ট ঘটনাগুলোর একটি হচ্ছে মাতৃত্ব। এর বাইরে আদতে মেয়েদের কোন অস্তিত্বই নেই। এটা শুধু মানুষ নয় সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আপনি গাছপালা পশুপাখি সবক্ষেত্রেই এমন পাবেন।
আপনি আল্লাহতে বিশ্বাসী হন আর হাজার বছরের বিবর্তনে বিশ্বাসী হন; হাজার বছরের বিবর্তন নারী দেহকে যেভাবে গড়ে তুলেছে সেটার দিকে লক্ষ করেন, আনুমানিক তিনলক্ষ ডিম্বাণু নিয়ে একটা মেয়ে শিশু জন্মগ্রহণ করে। 8/9 বছর গিয়ে তার দৈহিক পরিবর্তন আসতে শুরু করে সেটা কি জন্য? কেন প্রতি মাসে জোয়ার ভাটা শুরু হয়ে যায়?
প্রজেস্টেরন, ইস্ট্রোজেনের প্রভাবে মেয়েদের ত্বকের নিচে যে চর্বি জমে সেটা কী জন্য? শিশু অবস্থায় নারীপুরুষ উভয়ের ব্রেস্ট ইনএকটিভ হলেও পরিণত বয়সে কেন শুধু মেয়েদেরটা একটিভ হয়? কেন মেয়েদের শ্রোণীচক্রের হাড়ের এংগেল ছেলেদের তুলনায় বেশি?
কেন ঘুমন্ত অবস্থায় বাচ্চার গোঙানির শব্দ শোনার জন্য একজন মায়ের সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম জাগ্রত থাকে? এমন বহু কেন এর উত্তর খুঁজতে গেলে আপনি বিষয়টা বুঝে যাবেন।
একটা রানী মৌমাছি দিনে দুই হাজার ডিম দেয়। একটা রাণী উইপোকা দিনে ত্রিশ হাজার ডিম দেয়, কখনো কখনো তা ৭০/৮০ হাজার পর্যন্ত হতে পারে। জিওডাক তার জীবদ্দশায় 5 বিলিয়ন ডিম দেয়। একটা ধানের মাল্টিপ্লিকেশন রেইট ৭০০/৮০০ পর্যন্ত হয়।
জগতের কেউই নারী প্রজাতির এই মাতৃত্বকে খারাপ চোখে দেখেনি। বরং সভ্যতা টিকেই আছে রিপ্রোডাকশনের কারণে। নব্বইয়ের দশক তথা নারীবাদের উত্থানের পূর্বেও মেয়েরা এটাকে খারাপভাবে দেখতো না।হাজার হাজার বছরের পৃথিবীর ইতিহাসে কোন সময়ই মাতৃত্বকে খারাপ চোখে দেখা হয়নি। আমাদের নানী-দাদীদের দশটা বারোটা ছেলে মেয়ে ছিলো।
আপনি এখন কোন মেয়েকে যদি বলেন যে তার সন্তান সন্ততিতে আল্লাহ বরকত দিন তাকে দশ-বারোটা ছেলেমেয়ের মা বানাক তাহলে এই কথার চাইতে অন্য কিছু তাকে এতটা আঘাত করবে বলে আমার মনে হয়না।
হাদিসের দিকে দেখেন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা এমন নারীকে বিবাহ করো যে অধিক সন্তান দিতে পারে। উম্মতের সংখ্যাধিক্যের জন্য তিনি গর্ব করবেন।
ঘরে বাইরে দুই জায়গায় অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হলে সন্তান কোথা থেকে আসবে?
মূলত নারীর থেকে মাতৃত্ব কেড়ে নিয়ে তাকে রাস্তায় নামিয়ে দেওয়াটাই নারীবাদের মূল লক্ষ্য।
নারীকে শ্রমে নামিয়ে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি করে সস্তায় শ্রম কিনে পুঁজিপতিরা আরো পুঁজিপতি হবে আর সংসার বিমুখ হয়ে নারীরা সেইপথে এগিয়ে যাবে যাতে শয়তান সবচেয়ে বেশি খুশি হয়। এটাই হলো শয়তানী এজেন্ডা। নারী ক্ষমতায়ন, নারী স্বাধীনতা, নারী অধিকার, প্রতিষ্ঠিত হওয়ার নামে নারীরা মূলত শয়তানের সেই এজেন্ডাকেই বাস্তবায়ন করছে।
Abdullah Al Kanon