Monday, April 29, 2024
No menu items!

আমাদের মুসলিমউম্মাহ ডট নিউজে পরিবেশিত সংবাদ মূলত বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সমাহার। পরিবেশিত সংবাদের সত্যায়ন এই স্বল্প সময়ে পরিসরে সম্ভব নয় বিধায় আমরা সৌজন্যতার সাথে আহরিত সংবাদ সহ পত্রিকার নাম লিপিবদ্ধ করেছি। পরবর্তীতে যদি উক্ত সংবাদ সংশ্লিষ্ট কোন সংশোধন আমরা পাই তবে সত্যতার নিরিখে সংশোধনটা প্রকাশ করবো। সম্পাদক

হোমদাওয়ামর্যাদা সম্মানের একছত্র মালিক আল্লাহ্‌

মর্যাদা সম্মানের একছত্র মালিক আল্লাহ্‌

তারা আল্লাহ্‌কে মান-সম্মান করে না তাঁর যথাযোগ্য মর্যাদায়। নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ তো মহাবলীয়ান, মহাশক্তিশালী। (সুরা হজ্জ, আয়াত ৭৪) আমাদের থেকে আল্লাহ্‌ তা’আলা যে কতটুকু কষ্ট পান, তার নমুনা উপরের আয়াত। গভীর উপলব্ধির বিষয়। অথচ বিশ্ব ব্রক্ষান্ডে আমরা তাঁর এক মাত্র শ্রেষ্ঠ বান্দা। আর পৃথিবী ব্যাপী যা কিছু তিনি সৃষ্টি  করেছেন তা আমাদের জন্যই। আমাদের ভাল-মন্দ, সুখ-দুঃখ, আনন্দ-কষ্ট সবই তাকে হয় উৎফুল্ল করে নয় ব্যথিত করে যার ফল স্বরূপ তিনি আমাদেরকে দুনিয়াতেও ভাল রাখেন আর আখেরাতেও ভাল রাখবেন, কষ্ট বেদনার বিনিময়ে।

এ লিখাটা যথেষ্ট মনোবেদনা থেকে লিখতে বাধ্য হয়েছি। ইন্টারনেট হাতড়াতে যেয়ে হটাৎ মুক্তমনা ব্লগে চোখ পড়েছে। সাধারণত আমি এ গুলো এড়িয়ে চলি। মন চাচ্ছিল একটু দেখি কি লেখে মুক্তমনারা, বড়ই ব্যথিত হয়ে আজ থেকে মুক্তমনা ব্লগের আমি নাম দিয়েছে, “সংকীর্ণমনা” ব্লগ। তার থেকেই এই লিখার অবতারণা।

পৃথিবিতে তিন শ্রেণীর মানুষ বসবাস করে আসছে। ক) আল্লাহ্‌তে বিশ্বাস নাই, খ) আল্লাহ্‌তে বিশ্বাসের পাশাপাশি অন্যান্য সৃষ্টকেও বিশ্বাস ও পূজা করে ও গ) একমাত্র আল্লাহ্‌তে বিশ্বাস ও শুধু তাঁরই এবাদত করে।

ক)     আল্লাহ্‌তে বিশ্বাস নাই

         এককথায় এ শ্রেণী মানুষের বিশ্বাস, পৃথিবী নামক গোলাকার জগত কেউ সৃষ্টি করে নাই, সৌরজগৎ সৃষ্টির মোটামুটি ১০০ মিলিয়ন বছর পর একগুচ্ছ সংঘর্ষের ফল হলো পৃথিবী। আজ থেকে ৪.৫৪ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবী নামের গ্রহটি আকৃতি পায়, পায় লৌহের একটি কেন্দ্র এবং একটি বায়ুমণ্ডল[1]। প্রাকৃতিক পরিবর্তন ও বিবর্তনই জগত ব্যতীত আর সব আপনা আপনি সৃষ্টি হয়েছে। এই বিপুল সময়ের মধ্যে অজস্র ভূতত্ত্বীয় পরিবর্তন পৃথিবীতে ঘটে গেছে, জীবনের উদ্ভব হয়েছে এবং সেই জীবনে এসেছে বিবর্তন[2] এদের আল্লাহ্‌ সম্বন্ধে এলার্জি আছে। বিশ্বাস তো নাই বরং সবসময় একপ্রকার বিরূপ মনোভাব পোষণ করে। চলতে, ফিরতে, কথা বলায় ও লেখালেখিতে এই উষ্মা প্রকাশ পায়। তারা চায় যে পৃথিবীর সব মানুষ তাদের বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসুক এবং নাস্তিক হউক। সংঘটিত দলটা যেন পৃথিবীব্যাপী তাদেরকে দেবতা বানিয়ে নেয়। অর্থাৎ তাদের বিশ্বাসে বিশ্বাসী হয়ে তাদেরকে অগ্র পথিক হিসাবে গ্রহণ করুক, প্রকারান্তরে তাদেরকে দেবতা ভাবুক, পৃথিবীতে তাদের নাম উজ্জল হয়ে উঠুক। একবার ভেবে দেখুন, দেবতা হওয়া তাদেরও একপ্রকার গুপ্ত ইচ্ছা। নয় কী। যদি তাই হয়, তবে ঐ একক সত্ত্বা কি আপনার গৌরব, মর্যাদা ও সম্মান ধুলায় ভূলুণ্ঠিত করেছে? ঐ একক স্বত্বা কি আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী? এর জন্য আল্লাহ্‌ তো আমাদের কাকেও অভুক্ত রাখেন নাই যদিও আমরা আল্লাহ্‌কে বিশ্বাস করি বা নাই করি। তিনি বলেন, আমি তাদের থেকে কোনো জীবিকা চাই না, আর আমি চাই না যে তারা আমাকে খাওয়াবে। বরঞ্চ আল্লাহ- তিনিই বিরাট রিযেকদাতা, ক্ষমতার অধিকারী, শক্তিমান। (সুরা আদ্‌ দারীয়াত, আয়াত ৫৬,৫৭) তা  হলে তাঁর প্রতি আপনার এত ঈর্ষা কেন? মর্যাদা দিতে না পারেন দোষ খুঁজে দিন শেষে কি পেলেন? দলভারী করতে চান না পেটপূজারী হতে চান নাকি মর্যাদা চান? ব্যাক্তিগত জীবনে দেখেন, যদি আপনি কাকেও সম্মান দিতে না শিখেন, তবে সেও আপনাকে সম্মান করবে না। আর যদি আপনি কাকেও অপমান করেন কালে ভদ্রে সেও সুযোগ পেলে আপনাকে অপমান করতে ছাড়বে না। তা হলে মিছেমিছি কেন আল্লাহ্‌কে অপবাদ দিচ্ছেন? একবার এক সম্মানিত ব্যক্তি রাসুল (সঃ) এর কাছে এলে তিনি নিজে চাদর বিছিয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘তোমাদের কাছে যে কোনো সম্প্রদায়ের লোক এলে তাকে সম্মান করো। সম্মান করা ঈমানের জন্য অত্যাবশ্যক।’ রাসুল (সঃ) আরও বলেন, কোন মানুষের জন্য এতটুকু মন্দ যথেষ্ট যে, সে আপন মুসলিম ভাইকে নীচ ও হীন মনে করে। – এক মুসলিমের রক্ত, সম্পদ ও মান-সম্মান অন্য মুসলিমের জন্য হারাম।” [মুসলিম: ২৫৬৪] সর্বোপরি ভেবে দেখুন আল্লাহ্‌র মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করে আপনি কি পেলেন। শুধুশুধু গলাবাজী নয়কি? আপনার যখন আল্লাহ্‌তে বিশ্বাস হয় না তবে অন্যকে কেন জোর করে নাস্তিক বানাচ্ছেন? আস্তিকের বিশ্বাস অনুযায়ী আপনিতো তার সমস্ত অপরাধ নিয়ে মৃতু বরণ করবেন।

অথচ আল্লাহ্‌ ভাল করেই আপনাদেরকে চিনেন, তাই তিনি বলেন, পবিত্র আপনার পরওয়ারদেগারের সত্তা, তিনি সম্মানিত ও পবিত্র যা তারা বর্ণনা করে তা থেকে। (সুরা আস-সাফফাত, আয়াত ১৮০) আপনার বর্ণনায় তাঁর সম্বন্ধে যা কিছুই আসে না কেন, তাতে তাঁর কিছু আসে যায় না, তিনি অমুখাপেক্ষী। কেউ সম্মান চাইলে জেনে রাখুন, সমস্ত সম্মান/মর্যাদা আল্লাহরই জন্যে। তাঁরই দিকে আরোহণ করে সৎবাক্য এবং সৎকর্ম তাকে তুলে নেয়। যারা মন্দ কার্যের চক্রান্তে লেগে থাকে, তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি। তাদের চক্রান্ত ব্যর্থ হবে। (সুরা ফাতির, আয়াত ১০)  সম্মান দিলে সম্মান পাবেন এটাই শেষ কথা। আপনার ঈর্ষা, ক্ষোভ আপনাকে জ্বালিয়ে একদিন নিঃশেষ করে আপনাকে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে, পৃথিবী আপনার কথা একদিন ভুলে যাবে, যে ভাবে অতীত থেকে চলে আসছে।

খ) আল্লাহ্‌তে বিশ্বাসের পাশাপাশি অন্যান্য সৃষ্টকেও বিশ্বাস ও পূজা করে

আপনার বিশ্বাসে আল্লাহ্‌ ব্যতীত আরও দেবতা আছে আপনি যার পূজা অর্চনা করেন, আপনার বেলায়ও তাঁর মর্যাদার অংশ বিশেষ তিনি আপনাকে দান করেছেন, তাঁর বানী, নিশ্চয় আমি আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি, আমি তাদেরকে স্থলে ও জলে চলাচলের বাহন দান করেছি; তাদেরকে উত্তম জীবনোপকরণ প্রদান করেছি এবং তাদেরকে অনেক সৃষ্ট বস্তুর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি। (আল-ইসরা, আয়াত ৭০) মর্যাদা দান করে তা আমরা সঠিক ভাবে পালন করতে পারব কিনা তার পরীক্ষা তিনি নিবেন, তাইতো তিনি বলেন, তিনিই তোমাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছেন এবং একে অন্যের উপর মর্যাদা সমুন্নত করেছেন, যাতে তোমাদের কে এ বিষয়ে পরীক্ষা করেন, যা তোমাদেরকে দিয়েছেন। আপনার প্রতিপালক দ্রুত শাস্তি দাতা এবং তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, দয়ালু। (সুরা আল-আনআম, আয়াত ১৬৫) তারপরেও তিনি উদারতার বৈশিষ্টে বৈশিষ্টমণ্ডিত। সবার সৃষ্টিকর্তা, কাকেও নীচ করে দেখেন নাই।

তিনি তাঁর মর্যাদা সম্মানে অন্য কারও শরিক বা অংশ দিতে নারাজ। তাইতো তিনি বলেন, তিনি এক ও অদ্বিতীয়। আর সমস্ত সম্মানের তিনি একছত্র মালিক। তিনিই একক স্বত্বা, এই পুরো সৃষ্টি বলয় তাঁরই কৃত। যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা। (সুরা ফাতিহা, আয়াত ২) আরও দেখেন, সর্ববিধ প্রশংসা আল্লাহরই জন্য যিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছেন এবং অন্ধকার ও আলোর উদ্ভব করেছেন। তথাপি কাফেররা স্বীয় পালনকর্তার সাথে অন্যান্যকে সমতুল্য স্থির করে। (সুরা আনআম, আয়াত ১) এখানে কাফের বলতে তাদেরকে বুঝানো হয়েছে, যারা আল্লাহ্‌র সাথে অন্য কাকেও পূজা করে। ধীর ও স্থির চিত্তে একবার ভাবুন, তাঁর সম্মানে ভূষিত হয়েও আপনি অন্য কোন দেবতার অর্চনা করছেন, যে আপনাকে কিছুই দিতে পারে না এবং অতীতেও আপনার বাপদাদাদেরকে দিতে পারে নাই, তিনি বলেন, তারাও তাঁর কাছে একটি সৃষ্টি বই কিছু না। এবং যারা আল্লাহকে ছেড়ে অন্যদের ডাকে, ওরা তো কোন বস্তুই সৃষ্টি করে না; বরং ওরা নিজেরাই সৃজিত। (সুরা নাহল, আয়াত ২০) অতএব মর্যাদার পাত্রকে মর্যাদা দেওয়া আমাদের একান্ত কর্তব্য। এই বিষয়ে যে কথাটি দিয়ে শেষ করা যায় তা হোল, আল্লাহ্‌ বলেন, বস্তুতঃ তাদের অধিকাংশই শুধু আন্দাজ-অনুমানের উপর চলে, অথচ আন্দাজ-অনুমান সত্যের বেলায় কোন কাজেই আসে না। আল্লাহ ভাল করেই জানেন, তারা যা কিছু করে। (সুরা ইউনুস, আয়াত ৩৬) পরবর্তী এক আয়াতে তিনি তাদের ধ্বংসের ইচ্ছা পোষণ করেছেন। অনুমানকারীরা ধ্বংস হোক, (সুরা দারিআত, আয়াত ১০)

গ) একমাত্র আল্লাহ্‌তে বিশ্বাস ও শুধু তাঁরই এবাদত করে।

        আল্লাহ্‌ এদেরকে মুসলমান নাম দিয়েছেন। তাইতো তিনি বলেন, বলো – ”হে গ্রন্থপ্রাপ্ত লোকেরা, আমাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে পরস্পর সমঝোতার মাঝে এসো, যেন আমরা আল্লাহ্ ছাড়া আর কারো এবাদত করবো না, আর তাঁর সাথে অন্য কিছুকে শরীক করবো না, আর আমরা কেউ আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কাউকে মনিব বলে গ্রহণ করবো না।’’ কিন্তু তারা যদি ফিরে যায় তবে বলো — ”সাক্ষী থাকো, আমরা কিন্তু মুসলিম।’’ (সুরা আলে-ইমরান, আয়াত ৬৪) মুসলিমরাই শুধু আল্লাহকে তাঁর প্রাপ্য মর্যাদা দেওয়ার জন্য সচেষ্ট থাকে এবং তারা আশা করে আল্লাহ্‌ তা’আলা তাদেরকে দুনিয়াতে ও আখেরাতেও মর্যাদায় ভূষিত করবেন।

প্রধান প্রসঙ্গে এবার আসি!! সংকীর্ণমনারা বলেন, কেন আল্লাহ্‌ স্বয়ং মর্যাদা সম্মান নিজের জন্য বন্দা থেকে চেয়ে নিচ্ছেন? নিজেই কি নিজের গুনের প্রশংসা করছেন না? এই অভিযোগ যে কত বড় মূর্খের চেতনা তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আপনার শিশু কালে আপনার বাবা আপনাকে তাঁর পরিচয়ের জন্য আপনাকে তিনি বাবা ডাক শিখিয়েছেন কিনা? আপনি কি ভাবে জানলেন যে তিনি আপনার বাবা। আল্লাহ্‌ তা’আলা নিজেই বলছেন তিনি আদি, তিনিই অন্ত, তাঁর কোন জন্ম দাতা নেই এমনকি তিনি জন্মও দেন না। তো তাঁর বেলায় তাঁর নাম আপনাকে কে শিখাবে? তিনিই তাঁর নাম আল্লাহ্‌ রেখেছেন। তিনি হলেন পৃথিবীতে বড় শিক্ষক, তিনি বলেন, তিনি তাকে শিখিয়েছেন সুস্পষ্ট ভাষা। (সুরা আর-রাহমান, আয়াত ৪) অন্য আয়াতে তিনি বলেন, যিনি শিক্ষা দিয়েছেন কলমের সাহায্যে, (সুরা আলাক, আয়াত ৪) তাহ’লে এবার বুঝুন, এ সব তাঁরই অবদান। মর্যাদা বা সম্মান জিনিসটা কি ভাবে তার প্রয়োগ হবে, এর বিপরীত হলে তার মর্ম কি দাঁড়াবে তিনিই তা শিক্ষা দিয়েছেন। এবার আলোচনায় আসি কেন তাঁর জন্য সমস্ত প্রশংসা, মর্যাদা ও সম্মান। যিনি বড়, যার বড় আর ভূমণ্ডলে কেউ নেই, যার কাছে আমাদের শেষ গন্তব্যস্থল তার আরাধনা আমরা করবো না। দেখেন, এই দুনিয়াতে যে আমদেরকে একটু আদর, সোহাগ, ভালবাসা, সাহায্য, সহযোগিতা করে আমরা কি তার প্রশংসা করি না? যদিও এই প্রশংসা ক্ষণস্থায়ী। এমনও হয় পরবর্তীতে সেই লোকেরই আমরা নিন্দা করি। কিন্তু আল্লাহ্‌ সব সময়ই সুমহান। তাঁর বেলায় নিন্দার কোন স্থান নাই। এমনকি আল্লাহ নিজের জন্যও জুলুমকে হারাম করেছেন। রাসুল (সা.) হাদিসে কুদসিতে আল্লাহর কথা বর্ণনা করে বলেন, ‘হে আমার বান্দা, আমি নিজের ওপর জুলুম হারাম করেছি এবং তোমাদের জন্যও তা হারাম করেছি। অতএব তোমরা একে অপরের ওপর জুলুম কোরো না।’ (মুসলিম, হাদিস : ৬৭৩৭)

কারন সার্বক্ষণিক আমরা তাঁর দেওয়া নিয়ামত ভোগ করে আসছি এমনকি মৃতু পরবর্তী সময়েও ভোগ করার গ্যারান্টি তিনি আমাদের দিয়েছেন।  তাই আমরা ইন’শাআল্লাহ মনে প্রানে সব সময় আল্লাহ্‌র বড়ত্ব, মর্যাদার ঘোষণা দিয়ে যাব, এ বিষয়ে আমরা কারও পরোয়া করি না। আমরা কায়মনোবাক্যে বিশ্বাস করি রাসুল (সঃ) এই হাদিস, আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন- রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ্ তা‘আলা বলেছেনঃ হে আদম সন্তান! যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি আমাকে ডাকবে এবং আমার কাছে (ক্ষমা) প্রত্যাশা করবে, তুমি যা-ই প্রকাশ হোক না কেন আমি তা ক্ষমা করে দেব- আর আমি কোন কিছুর পরোয়া করি না। হে আদম সন্তান! তোমার গোনাহ্ যদি আকাশ সমান হয়ে যায় আর তুমি আমার কাছে ক্ষমা চাও, তাহলে আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব। হে আদম সন্তান! যদি তুমি পৃথিবী পরিমাণ গোনাহ্ নিয়ে আমার কাছে আস এবং আমার সঙ্গে কোন কিছুকে শরীক না করে (আখেরাতে) সাক্ষাত কর, তাহলে আমি সমপরিমাণ ক্ষমা নিয়ে তোমার সঙ্গে সাক্ষাত করবো। [তিরমিযী (নং-৩৫৪০) এ হাদীসটিকে হাসান বলেছেন।]


[1]https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%83%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%B0_%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8

[2]https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%83%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%B0_%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8

3 মন্তব্য

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

nine − one =

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য