তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ও গুদামের সার কেলেঙ্কারির ঘটনায় এক শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।
যার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তার নাম রাশেদুল ইসলাম রাজা। তিনি বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক।
রবিবার সকালে দুদক সমন্বিত বগুড়া জেলা কার্যালয়ে রাজার বিরুদ্ধে সাত কোটি ২১ লাখ টাকা অবৈধভাবে আয়ের অভিযোগে মামলাটি করেন সহকারী পরিচালক রবীন্দ্রনাথ চাকী।
জানা যায়, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) অধীন সান্তাহার বাফার গুদামে সার সংরক্ষণ করা হয়। আমদানি করা সার গুদাম পর্যন্ত পরিবহন করা হয় বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। কিন্তু সার পরিবহনের সময় নানা রকম অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এরপর বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে দুদক। তদন্তে রাজার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের খোঁজ মেলে।
সান্তাহার বাফার গুদামের ১৫৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকারও বেশি মূল্যের প্রায় ৫২ হাজার ৩৪২ মেট্রিক টন সরকারি সার কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর একটি মামলা করে দুদক।
ওই মামলার আসামি সান্তাহার বাফার গুদামের সাবেক ইনচার্জ প্রকৌশলী মো. নবীর উদ্দিন এবং উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম রাজা। এই মামলার তদন্তে নেমে দুদক রাজার অঢেল সম্পদের খোঁজ পায়।
দুদকের পাওয়া চিঠির পর গত বছর ২১ আগস্ট সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন রাশেদুল ইসলাম রাজা। তার দেওয়া তথ্যে ৭ কোটি ২০ লাখ ৯৭ হাজার ৭৩৫ হাজার টাকার তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য মেলে।
দুদকের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, সান্তাহার বাফার গুদামে সার চুরির ঘটনা বিশাল। এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এর আগেও রাজার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ইত্তেফাক/জেডএইচ