Sunday, March 16, 2025
No menu items!

আমাদের মুসলিমউম্মাহ ডট নিউজে পরিবেশিত সংবাদ মূলত বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সমাহার। পরিবেশিত সংবাদের সত্যায়ন এই স্বল্প সময়ে পরিসরে সম্ভব নয় বিধায় আমরা সৌজন্যতার সাথে আহরিত সংবাদ সহ পত্রিকার নাম লিপিবদ্ধ করেছি। পরবর্তীতে যদি উক্ত সংবাদ সংশ্লিষ্ট কোন সংশোধন আমরা পাই তবে সত্যতার নিরিখে সংশোধনটা প্রকাশ করবো। সম্পাদক

হোমদৈনন্দিন খবরকসাইকে সঙ্গে নিয়ে মায়ের লাশ পাঁচ টুকরা করে ছেলে: পুলিশ

কসাইকে সঙ্গে নিয়ে মায়ের লাশ পাঁচ টুকরা করে ছেলে: পুলিশ

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নের জাহাজমারা গ্রামে ধানক্ষেত থেকে নুরজাহান নামে এক নারীর মরদেহের পাঁচ টুকরা উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী মামলার বাদী ওই নারীর ছেলে হুমায়ুন কবির। তাকে সহযোগিতা করেছেন তার দুই আত্মীয়, এক কসাই বন্ধুসহ সাতজন। 

মায়ের জিম্মায় আনা সুদের টাকা পাওনাদারদের না দিয়ে বাঁচতে এবং পৈতৃক সম্পত্তি আত্মসাৎ করতেই মাকে হত্যার পরিকল্পনা নেন হুমায়ুন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

৭ অক্টোবর জাহাজমারা গ্রামের আমীর হোসেনের ধানক্ষেত থেকে পুলিশ ওই নারীর মাথা ও দেহের একটি অংশ এবং পরদিন দুপুরে আরও তিনটি অংশ উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় নিহত নুরজাহান বেগমের ছেলে হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে চরজব্বার থানায় মামলা করেন। ঘটনার ১৫ দিন পর বেরিয়ে এলো হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছেলে হুমায়ুনই। হুমায়ুনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এখনও দু’জন পলাতক রয়েছে। গ্রেপ্তার দু’জন দোষ স্বীকার করে আগেই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার হুমায়ুর কবিরও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানান, হুমায়ুন কবিরের সৎভাই বেলাল দেড় বছর আগে মারা যান। বেলাল গরু পালন, মাছচাষ ও ব্যবসা করার জন্য বেসরকারি সংস্থাসহ (এনজিও) মহাজনদের কাছ থেকে চার লাখ টাকা সুদে ঋণ নেন। বেলাল মারা যাওয়ায় ওই কিস্তির দায় এসে পড়ে তার মা নুরজাহান বেগমের ওপর। কিস্তি পরিশোধের জন্য মহাজন ও এনজিওকর্মীরা হুমায়ুন এবং তার মাকে চাপ দিতে থাকেন। এ জন্য হুমায়ুন তার মাকে সৎভাই বেলালের নামে থাকা জমি বিক্রির অনুরোধ করেন। এতে নুর জাহান রাজি হননি। এ নিয়ে মা-ছেলের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর জেরেই হুমায়ুন মাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

পুলিশ সুপার আরও জানান, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী হুমায়ুন তার মামাতো ভাই কালাম ওরফে মামুন, মামাতো বোনের স্বামীসহ সাতজনকে নিয়ে ৬ অক্টোবর রাতে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে নেওয়া পরিকল্পনা অনুযায়ী গভীর রাতে তারা নুরজাহান বেগমকে ঘুমের মধ্যে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেন। পরে পেশাদার কসাই নুর ইসলাম লাশ পাঁচ টুকরা করে রাতেই পাওনাদার একই গ্রামের আমীর হোসেনের ধানক্ষেতে ছিটিয়ে দেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

15 + nine =

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য