চীনের উইঘুর মুসলিম চিকিৎসক গুলশান আব্বাসকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটি। তার অপরাধ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী তার পরিবারের সদস্যরা মানবধিকারকর্মীর কাজ করে। গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্র ওই ডাক্তারকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসনাল এক্সিকিউটিভ কমিশন কমিটি (সিইসিসি) বুধবার চীনের প্রতি ওই আহ্বান জানিয়েছে। গুলশান আব্বাস নামে ওই উইঘুর চিকিৎসক ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে নিখোঁজ হন। এর পর গত বছরের মার্চ মাসে চীন সরকার তাকে সন্তাসবাদের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়। ওই চিকিৎসকের মেয়ে জিবা মুরাত দ্বিপক্ষীয় মার্কিন কংগ্রেসনাল-এক্সিকিউটিভ কমিশন অফ চায়নার (সিইসিসি) সঙ্গে আয়োজিত এক সভায় দাবি করেন, গত বছরের মার্চে তারা জানতে পারেন, তার মাকে সন্ত্রাসবাদ-সংক্রান্ত মিথ্যা অভিযোগ এনে ২০ বছরের সাজা দিয়েছে চীন সরকার। এর আগে ২০১৮ সালে তিনি নিখোঁজ হন।
বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন যে আব্বাসকে একটি “সন্ত্রাসী” সংগঠনে যোগদান, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সহায়তা করা এবং “সামাজিক শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করতে জনসভায় একত্রিত হওয়ার” অপরাধের জন্য সাজা দেওয়া হয়েছে।
এ দিকে গুলশান আব্বাসের বোন রুশান আব্বাস বলেন, আমি ও আমার ভাই রিশাদ আব্বাস যুক্তরাষ্ট্রে ইউঘুরদের বন্দিশিবিরে আটক রাখার প্রতিবাদে সভা-সমাবেশ করায় আমার বোনকে মিথ্যা মামলায় ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিরি আরো বলেন, আমাদের ওপর নির্যাতন বন্ধ না করলে এবং আমার বোনকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন চালিয়ে যাব।
উল্লেখ্য, পশ্চিম চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের ওপর এক দশক ধরে অবর্ণনীয় অত্যাচার চালাচ্ছে চীনা কমিউনিস্ট সরকার। চীনের সেনাবাহিনী ও পুলিশ উইঘুর মুসলিমদের মানবাধিকার এবং ন্যূনতম স্বাচ্ছন্দ্যটুকুও কেড়ে নিয়েছে। নিজ ধর্ম পালনের অধিকারটুকুও তাদের নেই। সম্প্রতি আমেরিকা, ব্রিটেনসহ একাধিক দেশ উইঘুর মুসলিমদের নিপীড়ন নিয়ে সরব হয়েছে। কিন্তু চীন সরকার এ সব দাবী অস্বিকার করেছে।
সূত্র: আলজাজিরা।