Monday, September 16, 2024
No menu items!

আমাদের মুসলিমউম্মাহ ডট নিউজে পরিবেশিত সংবাদ মূলত বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সমাহার। পরিবেশিত সংবাদের সত্যায়ন এই স্বল্প সময়ে পরিসরে সম্ভব নয় বিধায় আমরা সৌজন্যতার সাথে আহরিত সংবাদ সহ পত্রিকার নাম লিপিবদ্ধ করেছি। পরবর্তীতে যদি উক্ত সংবাদ সংশ্লিষ্ট কোন সংশোধন আমরা পাই তবে সত্যতার নিরিখে সংশোধনটা প্রকাশ করবো। সম্পাদক

হোমদৈনন্দিন খবরজাতীয় সংগীতের সুরে হামদ, সেই মাদ্রাসার কার্যক্রম বন্ধ

জাতীয় সংগীতের সুরে হামদ, সেই মাদ্রাসার কার্যক্রম বন্ধ

কুমিল্লার মুরাদনগরে জাতীয় সংগীতের সুর দিয়ে ইসলামী সংগীত (হামদ) পরিবেশনের অভিযোগে একটি মাদ্রাসার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

রোববার দুপুরে উপজেলার সিদ্ধেশ্বরী এলাকার দারুল কোরআন আল আরাবিয়া মাদ্রাসার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। এ সময় কাগজপত্র এবং অনুমোদন নিয়ে ওই মাদ্রাসা চালু করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।

জানা যায়, উপজেলার সিদ্ধেশ্বরী দারুল কোরআন আল আরাবিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম নাজিবুল্লাহ আফসারী জাতীয় সংগীতের সুর ব্যবহার করে একটি ইসলামী সংগীত পরিবেশনা করে তার নিজস্ব ফেসবুক এবং ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেন। এতে বিষয়টি কর্তৃপক্ষসহ গণমাধ্যম এবং স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয়।

রোববার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাস এবং থানার ওসি নাহিদ আহাম্মেদ। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে পাওয়া যায়নি।

এ সময় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে মাদ্রাসার কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়া ওই শিক্ষককে তার ফেসবুক আইডিসহ ইউটিউব চ্যানেল থেকে ওই সুরে গাওয়া সংগীতটি মুছে ফেলার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, গত এক মাস ১৮ দিন আগে ওই মাদ্রাসার কার্যক্রম শুরু করে মসজিদ কমিটি।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার মুহতামিম নাজিবুল্লাহ আফসারীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আসলে বিষয়টি এমন হবে তা আমার জানা ছিল না। আমি আমার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে সবকিছু কেটে দিয়েছি এবং একটি ভিডিও বার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়ে এ বিষয়টির জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইব।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাস বলেন, জাতীয় সংগীতের সুর ব্যবহার করে ওই মাদ্রাসার মুহতামিম শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি ইসলামী সংগীত পরিবেশন করে ফেসবুক এবং ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেন; যা কপিরাইট আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বিষয়টি নিয়ে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া যায়, তা নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি। মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার যথাযথ কাগজপত্র না থাকায় আপাতত ওই মাদ্রাসার কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

13 − one =

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য