••• বংশের গৌরব !!! •••
*** ইবলিস শয়তানের নিখুঁত প্ররোচনায় আমরা বংশ নিয়ে গৌরববোধ করে থাকি ! আমাদের নামের আগে পরে তালুকদার / জমিদার/ মজুমদার/ চৌধুরী / আওলাদে রসুল সা: ইত্যাদিতে ভরপুর !!!
*** নতুন করে যোগ হয়েছে “ আমি অমুক মন্ত্রীর ভাগ্নে ! অমুক সচিব আমার মামা ! আমার চাচা মেজর / সেনা প্রধান ইত্যাদি !!!!!!!!
*** এসব হারাম পদ্ধতি ব্যবহার করার লক্ষ্য ও টার্গেট হলো কাউকে ব্ল্যাকমেইল করত: স্বার্থ চরিতার্থ করা ! এ শ্রেণীর লোকগুলো প্রশ্নবিদ্ধ ও খুবই মন্দ প্রকৃতির হয়ে থাকে ! পবিত্র কুরআন – হাদিস সম্পর্কে এদের আদৌ কোন সঠিক ধারণা নেই । বিষয়টি সুস্পস্ট ।
*** এ বিষয়ে পবিত্র কুরআন ও হাদিস কি বলে দেখে আসি ……
*** মহান আল্লাহপাক বলেন
ان اكرمكم عند الله اتقاكم
“ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট তোমাদের মধ্যে সেই সর্বোত্তম যে ব্যক্তি আল্লাহকে অধিক ভয় করে ।”
সূরা আল হুজুরাত ১৩
*** সর্বোত্তম মানব , বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত মহানবী মুহাম্মদ সা: নিজ কন্যাকে বললেন “ হে ফাতেমা ! জাহান্নামের আগুন থেকে নিজেকে রক্ষা করো । কেননা কারো উপকার – অপকার করার ক্ষমতা আমার নেই ।”
ছহীহ মুসলিম ২/১১৪
*** আল্লাহপাক বলেন
قل ما كنت بدعا من الرسل و ما ادري ما يفعل بي و لا بكم ان اتبع إِلَّا ما يوحي الي و ما انا إِلَّا نذير مبين
“ হে নবী সা: ! বলুন আমি রসুলদের আ: মাঝে নতুন কেউ নই । আমি জানিনা আমার সাথে ও তোমাদের সাথে কি আঁচরণ করা হতে পারে ! আমি তো শুধুমাত্র ওহীর অনুসরণ করে থাকি মাত্র । আমি একজন স্পস্ট ভীতি প্রদর্শনকারী ব্যতিরেকে আর কিছুই নই ।”
সূরা আল আহক্বাফ ৯
*** মহানবী সা: বলেছেন “ হে আয়েশা ! কেয়ামতের দিন তিনটি স্হানে তোমাকেও আমার মনে থাকবেনা :
এক. আমলনামা দেয়ার সময়ে !
দুই. আমলনামা ওজন করার সময়ে !
এবং
তিন. পুলসিরাতে !
সুনানে আবু দাউদ
*** মহানবী সা: বলেছেন
لا فضل العربي علي العجمي إِلَّا بتقوي الله
“ অনারবদের উপর আরবদের কোন মর্যাদা নেই । মর্যাদা নির্ধারিত হয় তাকওয়ার ভিত্তিতে ।”
মুসনাদে আহমদ
*** বিশ্বনবী সা: বলেন “ আল্লাহপাক মানুষের অন্তর ও কর্মের প্রতি দৃষ্ঠিপাত করেন । আকৃতি ও বর্ণের দিকে নয় ।”
ছহীহ মুসলিম ৬৩১১
*** রসুল সা: বলেছেন “ আল্লাহর নিকট সেই ব্যক্তি সর্বাপেক্ষা উত্তম, যে, আল্লাহকে অধিক ভয় করে ।”
ছহীহুল বোখারি ৪৬৮৯
*** কবি বলেন
“ নহে আশরাফ যাঁর আছে বংশ পরিচয় !
সেই আশরাফ যাঁর জীবন পূণ্য কর্মময় ।”
*** প্রকৃত বংশ বলতে কি বুঝায় ?
*** বংশের প্রকৃত সংজ্ঞা হলো সৎ, ন্যায়পরায়ণ হওয়া । আওলাদে রসুল সা: ও তালুকদার ইত্যাদি হওয়া নয় ! মহানবী সা: সৎ ও ন্যায়পরায়ণ বংশে জন্মগ্রহণ করেন । অথচ তাঁর মা- বাবা ছিলেন মুশরিক । সাইয়্যিদুনা ইব্রাহিম আ:’র বাবা স্পস্ট জাহান্নামী । এখন তিনি কি বংশ নিয়ে গৌরব করতে পারবেন ?
*** হাদিসে বর্ণিত “ বংশীয় মেয়ে বিয়ে করার অর্থ সৎ ও ন্যায়পরায়ণ লোকদের সাথে সম্পর্ক স্হাপন । তালুকদার ও চৌধুরী ইত্যাদি উদ্দেশ্য নয় ।
*** এবার বলুন বংশীয় পদবী নিয়ে আত্মগৌরব ও অহঙ্কার করবেন কি ?????
MQM Saifullah Mehruzzaman