বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় বিয়ের আসরে এনজিও’র কিস্তি আদায় করতে গেলে এক তরুণীর বিয়ে ভেঙে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
এ ঘটনায় ওই তরুণীর মা ইয়াসমিন বেগম ফকিরহাট মডেল থানা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে ইয়াসমিন বেগম জানান, তিনি একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী ও অসহায় নারী। তার স্বামী সরোয়ার শেখ একজন দিনমজুর। অভাবের কারণে স্থানীয় একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু করোনাকালে তার ঋণের কিস্তি পরিষদ করতে সমস্যা হচ্ছিল। তাই কয়েকটা কিস্তি তিনি দিতে পারেননি। সম্প্রতি তিনি কাজের উদ্দেশে ঢাকায় যান। প্রায় এক সপ্তাহ আগে মেয়ের বিয়ে দেয়ার জন্য ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন।
অভিযোগে তিনি আরও জানান, গ্রামবাসীর কাছ থেকে আর্থিক ও মানবিক সহয়তা নিয়ে গত ২৮ ডিসেম্বর তার মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেন। তিনি বাড়িতে এসেছেন খবর পেয়ে বিয়ের দিনই এনজিওর লোকজন এসে ঋণের টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করাসহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
এসময় তিনি মেয়ের বিয়ের পর ঋণের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন এবং এনজিও কর্মীদের চলে যেতে বলেন। কিন্তু এনজিওর লোকজন ছেলে পক্ষকে বলে, তারা লোনের টাকা পরিশোধ করতে পারে না, তাদের সাথে ছেলের বিয়ে দিয়েন না। এ কথা শুনে তখন ছেলে পক্ষ মেয়ের বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন ছেলে পক্ষকে অনেক অনুরোধের পরও তারা বিয়ে করেননি।
এ বিষেয় এনজিওর ম্যানেজার ধ্রীমান মহলদার বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্খিতভাবে ঘটেছে। আমাদের মাঠকর্মীরা ওইদিন গিয়েছিল তার বাড়িতে। কিন্তু গালিগালাজ বা কোনো খারাপ আচারণ করেনি। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাইদ মো. খায়রুল আনাম বলেন, অভিযোগ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আমরা অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই