Friday, December 6, 2024
No menu items!

আমাদের মুসলিমউম্মাহ ডট নিউজে পরিবেশিত সংবাদ মূলত বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সমাহার। পরিবেশিত সংবাদের সত্যায়ন এই স্বল্প সময়ে পরিসরে সম্ভব নয় বিধায় আমরা সৌজন্যতার সাথে আহরিত সংবাদ সহ পত্রিকার নাম লিপিবদ্ধ করেছি। পরবর্তীতে যদি উক্ত সংবাদ সংশ্লিষ্ট কোন সংশোধন আমরা পাই তবে সত্যতার নিরিখে সংশোধনটা প্রকাশ করবো। সম্পাদক

হোমদৈনন্দিন খবরবড়পুকুরিয়া কয়লাখনির সাবেক ছয় এমডিসহ ২২ কর্মকর্তা কারাগারে

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির সাবেক ছয় এমডিসহ ২২ কর্মকর্তা কারাগারে

খনির প্রায় দেড় লাখ টন কয়লা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক ছয় ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ২২ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। দিনাজপুরের স্পেশাল জজ মো. মাহমুদুল করীম গতকাল বুধবার ঐ ২২ কর্মকর্তার জামিনের আবেদন খারিজ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. ইস্রাফিল জানান, তারা জামিনে ছিলেন। গতকাল বুধবার চার্জশিটের ওপর শুনানির দিন ধার্য ছিল। তবে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি।

এর আগে গত বছরের ২৪ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. সামসুল আলমের পক্ষে দুদকের দিনাজপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমান আদালতে সাবেক সাত ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ২৩ জনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত গত বছরের ১৫ অক্টোবর চার্জশিট আমলে নেয়। তবে সাবেক এমডি মো. মাহবুবুর রহমান মারা যাওয়ায় এ মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি এখন ২২ জন। চার্জশিটে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ২০০৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত (মেয়াদে) খনির ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ দশমিক ৯৯ টন কয়লা আত্মসাতে জড়িত, যার বাজারমূল্য ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০১ টাকা। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

খনি থেকে কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির পক্ষে ম্যানেজার (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিছুর রহমান ১৯ জনকে আসামি করে পার্বতীপুর মডেল থানায় মামলা করেন। ঐ মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় দুদককে। দুদকের উপপরিচালক মো. সামসুল আলম তদন্ত শেষে চার্জশিট তৈরি করেন। চার্জশিটে এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৪ জনকে আসামি করা হয়। এছাড়া তদন্তে নতুন করে সাত সাবেক এমডিসহ ৯ জনের নাম বেরিয়ে আসে। এ নিয়ে চার্জশিটে ২৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। কিন্তু একজন সাবেক এমডি মারা যাওয়ায় তাকে বাদ দেওয়া হয়।

করাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন—সাবেক এমডি মো. আবদুল আজিজ খান, প্রকৌশলী খুরশীদুল হাসান, প্রকৌশলী কামরুজ্জামান, মো. আমিনুজ্জামান, প্রকৌশলী এস এম নুরুল আওরঙ্গজেব ও সাবেক এমডি প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমেদ, সাবেক জিএম (প্রশাসন) মো. শরিফুল আলম, মো. আবুল কাসেম প্রধানিয়া, আবু তাহের মো. নুর-উজ-জামান চৌধুরী (মাইন অপারেশন বিভাগ), নিরাপত্তা বিভাগের ম্যানেজার মাসুদুর রহমান হাওলাদার, মো. আরিফুর রহমান (ম্যানেজার, মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড অপারেশন), নিরাপত্তা বিভাগের ম্যানেজার সৈয়দ ইমাম হাসান, কোল হ্যান্ডলিং ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ডিজিএম মুহাম্মদ খলিলুর রহমান, মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের ডিজিএম মো. মোর্শেদুজ্জামান, প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ডিজিএম মো. হাবিবুর রহমান, মাইন ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ডিজিএম মো. জাহেদুর রহমান, ভেন্টিলেশন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক ডিজিএম সত্যেন্দ্রনাথ বর্মণ ও মো. মনিরুজ্জামান, কোল হ্যান্ডলিং ম্যানেজমেন্টের ম্যানেজার মো. শোয়েবুর রহমান, স্টোর ডিপার্টমেন্টের ডিজিএম এ কে এম খালেদুল ইসলাম, প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্টের ম্যানেজার অশোক কুমার হালদার ও মাইন প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের ডিজিএম মো. জোবায়ের আলী।

ইত্তেফাক/এমআর

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

twelve − ten =

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য