মাত্র আট মাস সময়ে পুরো কোরআন শরিফ মুখস্থ করে বিস্ময় সৃষ্টি করেছেন নয় বছর বয়সী হাফেজ আশিকুর রহমান।
তিনি উত্তরা বাইতুল মুমিন মাদরাসার শিক্ষার্থী। ময়মনসিংহের ইশ্বরগঞ্জ থানার ইশ্বরপুর গ্রামে হাফেজ আশিকুর রহমানের বাড়ি। বাবার নাম মোহাম্মদ বাবুল মিয়া। তিনি গাড়িচালক।
রোববার (৭ মার্চ) বিএম মিলনায়তন দক্ষিণ আজমপুর মুন্সি মার্কেট দক্ষিণ খান ঢাকায় হাফেজ আশিকুর রহমানকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
এসময় বাইতুল মুমিন মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ আমীন বলেন, আশিকুর রহমান কোরআন মুখস্থ করার আগে এ মাদরাসা থেকেই মাত্র এক বছর সময় নিয়ে পবিত্র কোরআন দেখে দেখে, সহিহ-শুদ্ধভাবে তেলাওয়াত করা শেখে। এরপর হিফজ (মুখস্থ) করা শুরু করলে মাত্র আট মাস সময়ে পূর্ণ কোরআন মুখস্ত করে ফেলে। যা পুরোপুরি বিস্ময়কর ব্যাপার।
মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ আমীন আরো বলেন, স্বাভাবিকভাবে একজন শিক্ষার্থীর পূর্ণ কোরআন হিফজ সমাপ্ত করতে কমপক্ষে দুই থেকে আড়াই বছর সময়ের প্রয়োজন হয়। সেখানে মহান আল্লাহ তায়ালার বিশেষ অনুগ্রহে হাফেজ আশিকুর রহমান মাত্র আট মাসেই সম্পূর্ণ কোরআন হিফজ করে শেষ করেছে।
তিনি বলেন, এটি মহান আল্লাহ তায়ালার বিশেষ রহমত ও মহানগ্রন্থ আল কোরআনের বিশেষ মুজিজা (অলৌকিকত্ব)।
নয় বছর বয়সী এই হাফেজে কোরআনের শিক্ষক হাফেজ মাঈনুল ইসলাম বলেন, আশিকুর রহমান নাজেরা (দেখে দেখে) পড়া শেষ করে শুরুর দিকে দুই পৃষ্ঠা করে কোরআন মুখস্থ করতে থাকে। এরপরে প্রতিদিন ৭-৮ পৃষ্ঠা করে মুখস্থ শোনাত। এভাবে মাত্র আট মাস সময়ে পূর্ণ কোরআন মুখস্থ করে ফেলে।
এখন সকালে আধা পারা (১০ পৃষ্ঠা), বিকালে আধা পারা মোট এক পারা (২০ পৃষ্ঠা) করে পবিত্র কোরআন শুনাচ্ছে হাফেজ আশিকুর রহমান।
ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাইতুল মুমিন মাদরাসার শিক্ষা সচিব হাবিবুল্লাহ সিরাজ,মুফতি এমদাদুল্লাহ আশরাফ, মাওলানা ফয়সাল মাহমুদ, মুফতি জহিরুল ইসলাম, মাওলানা ফজলুল হক,হাফেজ মাওলানা মাইনুল ইসলাম, হাফেজ মামুনুর রশীদ, হাফেজ মাওলানা হুজাইফা, মুফতি আল আমিন সিরাজ, মাওলানা মাহদী হাসান, ক্বারী মাহদী হাসান, মাওলানা আবুল বাশার প্রমুখ।
মেধাবী এই হাফেজের বাবা মোহাম্মদ বাবুল মিয়া তার ছেলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনায় সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।