Sunday, March 16, 2025
No menu items!

আমাদের মুসলিমউম্মাহ ডট নিউজে পরিবেশিত সংবাদ মূলত বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সমাহার। পরিবেশিত সংবাদের সত্যায়ন এই স্বল্প সময়ে পরিসরে সম্ভব নয় বিধায় আমরা সৌজন্যতার সাথে আহরিত সংবাদ সহ পত্রিকার নাম লিপিবদ্ধ করেছি। পরবর্তীতে যদি উক্ত সংবাদ সংশ্লিষ্ট কোন সংশোধন আমরা পাই তবে সত্যতার নিরিখে সংশোধনটা প্রকাশ করবো। সম্পাদক

হোমদৈনন্দিন খবরইউরোপে পাঠানোর কথা বলে ছেড়ে দিত শ্রীলঙ্কার জঙ্গলে

ইউরোপে পাঠানোর কথা বলে ছেড়ে দিত শ্রীলঙ্কার জঙ্গলে

মানব পাচার চক্রের বাংলাদেশি চার সদস্য গ্রেফতার

আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্রের ৪ বাংলাদেশি সদস্য গ্রেফতার হয়েছে। এই চক্রটি চাকরি ভিসায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠানোর কথা বলে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের ঢাকা মেট্রো পশ্চিমের একটি দল তাদেরকে গ্রেফতার করে।

বৃহস্পতিবার সিআইডির সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- হাবিবুর রহমান, মামুনুর রশিদ, জামাল হোসেন ও নাহিদুল ইসলাম পলাশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৮টি পাসপোর্ট, বিভিন্ন দূতাবাস, ব্যাংক, এজেন্সির ১৯টি সিলমোহর ও কম্বোডিয়ার ১০টি জাল ভিসা জব্দ করা হয়েছে।

সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিদেশে যেতে ইচ্ছুকদের ইউরোপের বিভিন্ন দেশে (মাল্টা, চেক প্রজাতন্ত্র, হাঙ্গেরি, মিশর মালদ্বীপ, কম্বোডিয়া) পাঠানোর কথা বলে টাকা নেয়। পরে তারা অনুমোদনহীন এজেন্সির মাধ্যমে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর অনুমোদন ছাড়া প্রথমে ভিজিট ভিসায় ভারতে পাঠাতো।

ভারত নেওয়ার পর ভুয়া ভিসা দিয়ে বিদেশ গমনেচ্ছুদের পরিবারের কাছ থেকে নানাভাবে টাকা হাতিয়ে নিতো। টাকা না দিলে বিভিন্ন জায়গায় আটকে রেখে নির্যাতন করে টাকা আদায় শেষে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হতো। এই সংঘবদ্ধ চক্রে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের দালাল চক্রের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রথমে ভুক্তভোগীদের বিআরটিসি বাসে করে বেনাপোল নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাদের বাসে করে নেওয়া হয় কলকাতায়। পরে ট্রেনে করে হায়দ্রাবাদে নেওয়া হয়। এরপর ট্রলারে করে নেওয়া হয় শ্রীলঙ্কায়। সেখানে জঙ্গলে ফেলে নির্যাতন করে টাকা আদায় করা হয়। পরে ওই ভুক্তভোগীরা সেখান থেকে পাঠিয়ে শ্রীলঙ্কার স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। দেশ থেকে ভুক্তভোগীদের পরিবার থেকে টাকা পাঠালে সেই টাকায় দেশে ফিরে তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শরণাপন্ন হয়।

ইত্তেফাক/জেডএইচ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

two × 4 =

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য