Monday, October 14, 2024
No menu items!

আমাদের মুসলিমউম্মাহ ডট নিউজে পরিবেশিত সংবাদ মূলত বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সমাহার। পরিবেশিত সংবাদের সত্যায়ন এই স্বল্প সময়ে পরিসরে সম্ভব নয় বিধায় আমরা সৌজন্যতার সাথে আহরিত সংবাদ সহ পত্রিকার নাম লিপিবদ্ধ করেছি। পরবর্তীতে যদি উক্ত সংবাদ সংশ্লিষ্ট কোন সংশোধন আমরা পাই তবে সত্যতার নিরিখে সংশোধনটা প্রকাশ করবো। সম্পাদক

হোমদৈনন্দিন খবরচীনে বিদেশীদের 'ধর্মীয় উগ্রবাদ নিষিদ্ধ' করার জন্য নতুন বিধিনিষেধ

চীনে বিদেশীদের ‘ধর্মীয় উগ্রবাদ নিষিদ্ধ’ করার জন্য নতুন বিধিনিষেধ

চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বে বিদেশি ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং উপাসকদের বিরুদ্ধে আগামীতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত খসড়া বিধিমালাতে 'ধর্মীয় উগ্রবাদ'-এর বিস্তার রোধে বিদেশি উপাসকদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে নতুন বিধিনিষেধের আহ্বান জানিয়েছে দেশটির বিচার বিভাগ।

শি’র অধীনে ধর্মীয় অনুশীলন নিয়ন্ত্রণের সর্বশেষ পদক্ষেপ হলো, নতুন নিয়মগুলি বর্তমানে জনসাধারণের মতামতের জন্য উন্মুক্ত আছে তবে তাদের বর্তমান নিয়ম গঠনে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

চীন আনুষ্ঠানিকভাবে একটি নাস্তিক রাষ্ট্র, যেখানে গণপ্রজাতন্ত্রী ধর্ম সর্বদা তাদের অবস্থান দখল করে থাকে। কমিউনিস্ট সরকার পাঁচটি সরকারী বিশ্বাসের অনুমোদন দেয় এবং বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে তা কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয়।

এই ধর্মগুলি হলো চাইনিজ বৌদ্ধধর্ম, তাওবাদ, ইসলাম, ক্যাথলিক ধর্ম, প্রোটেস্ট্যান্টিজম। এই গোষ্ঠীগুলির ধর্ম পালনে বাইরেও তাদের দৈনন্দিন কার্যকলাপ গুলিও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।এছাড়াও সরকারীভাবে স্বীকৃত নয় এমন অনেক বিশ্বাস যেমন মরমোনবাদ, ইহুদী ধর্ম, কোয়েকারস-চীনে পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছে। যা বিদেশীদের ক্ষেত্রে সাধারণত আরও বেশি স্বাধীনতা রয়েছে। বিদেশী ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলির প্রতি সংবেদনশীলতা এখনও প্রবল রয়েছে চীনে।

২০১৮ সালে চীন একটি গোপনীয় এবং ব্যাপক বিতর্কিত চুক্তি করেছিল, যা এই অক্টোবরে আরও দু’বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছিল, তবে আরও স্থায়ী ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা স্থগিত বলে মনে হয়। এই সপ্তাহে প্রকাশিত একটি বইতে পোপ ফ্রান্সিস প্রথমবারের মতো উইগার্সকে ‘নির্যাতিত মানুষ’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন। মঙ্গলবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, উইঘুরদের সম্পর্কে পোপ ফ্রান্সিস যা বলেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। “চীনে ৫৬ টি নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী রয়েছে এবং উইঘুর জাতিগোষ্ঠী চীনা জাতির বৃহত্তর পরিবারের সমান সদস্য।

এ বিষয়ে ঝাও আরও বলেন, চীন সরকার সর্বদা সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সাথে সমান আচরণ করেছে এবং তাদের বৈধ অধিকার এবং স্বার্থ সংরক্ষণ করেছে। এই খসড়ার অন্যান্য অংশগুলি ইসলামী গোষ্ঠীগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করে বলে মনে হচ্ছে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে জিনজিয়াং এবং চীন জুড়েই তারা প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়েছে, সাম্প্রতিক আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী ২৩ মিলিয়ন মুসলমান রয়েছে চীনে।

চীনের নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলাম বিশেষজ্ঞ রিয়ান থুম বলেছেন, বিধিনিষেধগুলি ‘বিদেশি ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং উপাসকদের ভীতির কারণ হতে পারে। যা বর্তমান সময়ের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তিনি আরো বলেন, ‘চীনের ধর্মীয় স্বাধীনতা’ কথাটি বারবার ব্যবহার করে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম, যা ‘বিদেশী’ প্রভাবের ধর্মগুলিকে শুদ্ধ করার ক্ষেত্রে জাতীয়তাবাদী আকাঙ্ক্ষাকে ইঙ্গিত করে।

অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইন্সটিটিউট (এএসপিআই) এর সাম্প্রতিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০১৭ সাল থেকে জিনজিয়াংয়ের প্রায় তিনটি মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়েছে।

চায়না রিসার্চর আকাদ বলেন, দিন দিন চীনে ওহাবী আদর্শের জনপ্রিয়তা এবং সৌদি আরবের সাথে ঘনিষ্ঠ সংযোগ নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন, যা গত দশক বা তারও বেশি সময় ধরে আপাতদৃষ্টিতে বৃদ্ধি পেয়েছে।

জিনজিয়াংয়ের বাইরে সরকার তার বৃহত্তম মুসলিম গোষ্ঠীর দিকে মনোনিবেশ করার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে হুই সংখ্যালঘুদের মধ্যে বেশিরভাগ চীনাভাষী মুসলমানদের উপর চাপ পড়েছে।

থুম বলেন, কিছু খ্রিস্টান মিশনারিরা চীনে অবৈধভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। নতুন বিধিমালা অনুযায়ী বিদেশী ধর্মীয় অনুশীলনে আশেপাশের অঞ্চলগুলিকে আরও কঠোর নিরাপত্তার আওতায় আনা হতে পারে।

নতুন প্রস্তাবটিতে সুনির্দিষ্ট শাস্তি তালিকাভুক্ত না করা হলেও, একটি পরামর্শ রয়েছে যে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে তারা কঠোর হতে পারে ও ‘পাল্টা গুপ্তচরবৃত্তি আইন এবং অন্যান্য রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা বিধি আহ্বান করার কথাও বলা হয়েছে।

ইত্তেফাক/এএইচপি

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

1 + fourteen =

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য