পাকিস্তানে মৌসুমি বৃষ্টিতে তিন দিনে অন্তত ৯০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অগণিত মানুষ। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে অন্তত এক হাজার বাড়িঘর। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা মঙ্গলবার একথা জানিয়েছে। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার করাচিতে নর্দমার পানি দিয়ে রাস্তা ও বাড়িঘর প্লাবিত হয়ে গেছে। শহরটির পুরনো ড্রেন পদ্ধতি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ভেসে গেছে ভারী বর্ষণে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় উদ্ধারকারী দল, স্বেচ্ছাসেবীদের পাশাপাশি কাজ করছে সেনারাও। কট্টরপন্থি তেহরিক-ই-লাব্বাইকের সদস্যদেরও দেখা গেছে আটকা পড়াদের উদ্ধারের কাজে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা অনুসারে, সিন্ধ প্রদেশের দাদু জেলায় সেনারা নৌকা দিয়ে ৩০০ মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে নিরাপদ স্থানে। করাচি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ১ হাজার ২৪৫ জনে। সেখানকার অনেক বাসিন্দা এখনো সাহায্যের অপেক্ষায় রয়েছে। শহরটির রাস্তাজুড়ে ডুবে রয়েছে অসংখ্য গাড়ি। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে করাচিতে নেমে আসবে আরো বৃষ্টি।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে বর্ষার মৌসুম প্রতিবছরই দুর্যোগ বয়ে আনে। বর্ষা মোকাবিলায় প্রতিবছরই হিমশিম খায় সরকার। চলতি বছর করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যে বর্ষা আসায় দুর্যোগ মোকাবিলা অন্যান্যবারের চেয়ে কঠিন হয়ে পড়েছে। এখন অবধি দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৬ হাজারের বেশি মানুষ। মঙ্গলবার মারা গেছেন আরো নয় করোনা রোগী।
এদিকে, ভারী বর্ষণে সিন্ধ প্রদেশে মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের, খাইবার পাখতুনখোয়ায় মারা গেছেন ২৩ জন, বেলুচিস্তানে ১৫ জন, পাঞ্জাবে আট জন ও অন্যান্য অংশে মারা গেছেন ১৩ জন।