নরওয়েতে করোনার টিকা দেয়া শুরুর পর এ পর্যন্ত ২৩ জন মারা গেছেন। তবে যারা মারা গেছেন তারা সবাই বৃদ্ধ এবং শারীরিকভাবে দুর্বল। নরওয়ের মেডিসিন এজেন্সি অনুরোধ করেছিল ভ্যাকিসিন দেয়ার ব্যাপারে শারীরিক সক্ষমতার বিষয়টি বিবেচনা করার জন্যে। যদিও দাবি করা হচ্ছে ভ্যাকসিনে এ ধরনের মৃত্যুর ঝুঁকি খুবই কম। শীর্ষ নিউজ।
নববর্ষের চারদিন আগে নরওয়েতে ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়। ৬৭ বছরের সুইভেন অ্যান্ডারসনকে প্রথম টিকা দেয়া হয়। এ পর্যন্ত নরওয়েতে ৩৩ হাজার মানুষকে কোভিড টিকা দেয়া হয়েছে।
এ পর্যন্ত ২৯ জন কোভিড টিকা দেয়ার পর বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। নরওয়ের মেডিসিন এজেন্সি বলছে এদের মধ্যে ২৩ জন মারা গেছে। তবে টিকা দেয়ার কারণেই ১৩ জনের মৃত্যু সম্পর্কে মূল্যায়নের পর নিশ্চিত হওয়া গেছে। ৯ জন মারাত্মক সাইড ইফেক্টে ভুগছে। তবে এ মৃত্যুহার এখনো শঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেনি বলে এজেন্সির মেডিক্যাল ডিরেক্টর স্টেইনার ম্যাডসেন। মৃতদের প্রত্যেকের বয়স ৮০ কিংবা ৯০ বছরের বেশি। প্রত্যেকেই শারীরিকভাবে দুর্বল ছিলেন। ভ্যাকসিন দেয়ার পর এদের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় ও অস্থির ভাব বা অসুস্থতা বোধ করে। তাদের অনেকে হৃদরোগ, ডেমনেশিয়াসহ অন্যান্য গুরুতর রোগে ভুগছিলেন। যে ৯ জন তীব্র সাইড ইফেক্টে ভুগছেন তারা অ্যালার্জির কথা বলছেন। কারো প্রচণ্ড জ্বর বা প্রবল অস্থিরতার মধ্যে রয়েছেন। কম পাশর্^প্রতিক্রিয়ায় যারা আছেন তারা টিকা দেয়ার স্থানে তীব্র ব্যথা অনুভব করছেন।
চিকিৎসকদের বয়স্কদের ক্ষেত্রে টিকা দেয়ার ব্যাপারে তাদের শারীরিক অক্ষমতার বিষয়টি আরো বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।