আঙুলের ছাপ ও চেহারা যাতে দেখা না যায় সেই কৌশল অবলম্বন করে ডাকাতির সময় হাতে ও মুখে গ্লাভস পরে নিতো ডাকাত চক্রটি। ভারতীয় সিরিয়াল সিআইডি দেখে তারা এই কৌশল শিখেছিল। গত ১০ বছর ধরে খুলনা ও রংপুর এলাকায় ডাকাতি করার এক পর্যায়ে একাধিক মামলার আসামি হওয়ায় তারা ঢাকার আশেপাশের এলাকায় ডাকাতি শুরু করে।
ডাকাতির আগে ও পরে চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন আ্যপস ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করতো। তারা ঢাকার কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও দোহার এলাকায় প্রবাসীদের বাড়িতে ডাকাতি করতো। সম্প্রতি এই চক্রের রুবেল ফরাজী ওরফে রিফাত হাওলাদার, সোহাগ শেখ ওরফে রুবেল ও মো. সোহেলকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ১০ ভুয়া ডিবি পুলিশকে আটক করেছে র্যাব
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইমাম হোসেন বলেন, গত বুধবার রাতে রাজধানীর খিলগাঁও ও শাহজাহানপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাত চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত হাফ প্যান্ট, গেঞ্জি, গ্রিল ভাঙার যন্ত্র ও দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
গত কয়েক বছর ধরে এই চক্রটি ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোতে প্রবাসীদের বাসা-বাড়িতে কৌশলে ডাকাতি করে আসছে। এই চক্রের সদস্যরা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মোবাইল সিমের পরিবর্তে বিভিন্ন আ্যপস ব্যবহার করতো। তারা বাসা-বাড়ির গ্রিল ও জানালা কেটে মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস পরে ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি করতো।
ডাকাতির কোনো ছাপ যাতে না থাকে মূলত সেজন্যই তারা ভারতীয় সিরিয়াল সিআইডি দেখে মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করতো। গ্রেফতারকৃতরা গত মার্চ মাসে কেরানীগঞ্জে ৮টির মতো ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে। গ্রেফতার রুবেল, সোহাগ ও সোহেলের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সোহেল এক মামলায় ১৭ বছর ও রুবেল ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
ইত্তেফাক/এসজেড