Monday, September 16, 2024
No menu items!

আমাদের মুসলিমউম্মাহ ডট নিউজে পরিবেশিত সংবাদ মূলত বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সমাহার। পরিবেশিত সংবাদের সত্যায়ন এই স্বল্প সময়ে পরিসরে সম্ভব নয় বিধায় আমরা সৌজন্যতার সাথে আহরিত সংবাদ সহ পত্রিকার নাম লিপিবদ্ধ করেছি। পরবর্তীতে যদি উক্ত সংবাদ সংশ্লিষ্ট কোন সংশোধন আমরা পাই তবে সত্যতার নিরিখে সংশোধনটা প্রকাশ করবো। সম্পাদক

হোমদৈনন্দিন খবর‘মানবিক বিয়ে’ বলে ইসলামে কোনো বিধান নেই: আলেমদের বিবৃতি

‘মানবিক বিয়ে’ বলে ইসলামে কোনো বিধান নেই: আলেমদের বিবৃতি

ইসলামে ‘মানবিক বিয়ে’ বলে কোনো বিধান নেই। ইসলামের নাম ব্যবহার করে সম্পূর্ণরূপে মনগড়া ও সাজানো এবং মিথ্যা ফতোয়া দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। বুধবার (৫ মে) দুপুরে এক বিবৃতিতে ওই দাবি করেন নীলফামারীতে ১২০০ আলেম-ওলামা।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা (মউশিক) শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ জেলা শাখার পক্ষে সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন তারা।

লিখিত বিবৃতিটি সাংবাদিকদের কাছে সরবরাহের কথা স্বীকার করে সংগঠনটি জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ইসলামের নিরাত্তা বিধানে, ইসলামের ভাবমূর্তি ধরে রাখতে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে, সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে ধর্মের নামে মিথ্যাচারকারী ও সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইসলাম রক্ষার নামে সারা দেশে হেফাজতে ইসলাম যে তাণ্ডব লীলা চালিয়েছে তার নিন্দাসহ দোষীদের শাস্তির দাবি করেন আলেম-ওলামারা। বিবৃতিতে সংগঠনের জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল জব্বার ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক এবং ছয় উপজেলার কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সদস্যরা স্বাক্ষর করেছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে সারা দেশে ধর্মের নামে হেফাজতে ইসলাম তাণ্ডব চালিয়েছে। পবিত্র ইসলামের দোহাই দিয়ে হেফাজত নেতা আল্লামা মামুনুল হক রিসোর্টে গিয়ে নারী নিয়ে বেহায়াপূর্ণ কাজে লিপ্ত হন। শুধু তাই নয়, ইসলামকে ব্যবহার করে সেটিকে ‘মানবিক বিয়ে’ বলে জায়েজ করার অপতৎপরতা চালায় হেফাজতে ইসলাম। ধর্মের নামে মিথ্যা বিভিন্ন ফতোয়া আর মিথ্যাচারের মাধ্যমে বেহায়াপূর্ণ কাজকে কিভাবে হেফাজত নেতারা সমর্থন যোগালেন?

তারা জ্বালাও পোড়াও ও তাণ্ডবের মাধ্যমে যে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিলেন তা ইসলাম বিরোধী। মানুষ হত্যা ইসলাম সমর্থন করে না। ২০১৩ সালে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে দেশ জাতি সম্পর্কে নানাবিধ ভুল তথ্য উপস্থাপন করে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে সাথে নিয়ে হেফাজতে ইসলাম ও সাম্প্রদায়িক শক্তি মিলে অপতৎপরতা চালিয়েছে। যা ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র, নারী কেলেঙ্কারি, মসজিদ মাদ্রাসার নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ এনে নিজেরা ভোগ করাসহ নানা রকম অপকর্মের দলিল গ্রেফতার হওয়া হেফাজত নেতাদের স্বীকারোক্তি থেকে আমরা জানতে পারছি। পাকিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আছে বলেও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে।

তারা আমাদের লজ্জিত করেছে, ইসলাম ও আলেম-ওলামা সমাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এ কাজটি হেফাজতে ইসলাম ও সাম্প্রদায়িক শক্তি জামায়াত শিবির মিলে ধর্মকে ব্যবহার করে সুপরিকল্পিতভাবে করছে। করোনা ও করোনা ভ্যাকসিন নিয়েও অপপ্রচার চালাতে ছাড়েননি তারা।

আলোচনায় আসার পর থেকেই রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, দেশের উন্নয়নসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ এবং রাষ্ট্রপ্রধানসহ সবাইকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে হেফাজতে ইসলাম।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হেফাজতে ইসলাম ও সাম্প্রদায়িক শক্তি ধর্মের নামে অপকর্ম করে দেশ, সমাজ ও ইসলামের যে ভাবমূর্তি বিশ্ব দরবারে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে তার তীব্র প্রতিবাদ ও ঘৃণা জ্ঞাপন করে দোষিদের শাস্তি দাবি জানানো হয়।

আমারসংবাদ/জেআই

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

five × 1 =

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য