গৃহবন্দী থাকার পর অবশেষে মুক্তি পেলেন কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী, পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি)-র সভানেত্রী মেহবুবা মুফতি। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) রাত পৌনে ১০টা নাগাদ তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
দিন কয়েক আগেই সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন করেছিল, আর কতদিন জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিকে বন্দি করে রাখা হবে? সর্বোচ্চ আদালতের এই প্রশ্নের পর মঙ্গলবার মুক্তি দেয়া হলো পিডিপি নেতা মেহবুবা মুফতিকে।
জম্মু ও কাশ্মীরে গত বিধানসভা নির্বাচনের পরে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করেছিলেন মেহবুবা। সেই মেহবুবাকেই ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর আটক করা হয়। মঙ্গলবার রাত নয়টা ১৭ মিনিটে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি টুইট করে বলেন, মেহবুবাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
মুক্তি পাওয়ার পর মেহবুবাও একটি অডিও বার্তা টুইট করেন। তিনি বলেছেন, ‘এক বছরেরও বেশি সময় পরে আমি মুক্তি পেলাম। ২০১৯ সালের ৪ আগস্টের পর থেকে কাশ্মীরে কালো দিন চলছে, যা আমার আত্মাকে প্রতিনিয়ত লাঞ্ছনা করছে। আমার বিশ্বাস জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষও একই রকম ভাবছেন। ওই দিন আমাদের যে অপমান করা হয়েছে তা ভুলতে পারব না।’ ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ হয়, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ দুইটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়।
মুক্তি পাওয়ার পর মেহবুবা বলেছেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, দিল্লি দরবার বেআইনি ও অগণতান্ত্রিকভাবে আমাদের কাছ থেকে অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে। কাশ্মীর ইস্যুতে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ গেছে। আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। কাশ্মীরের জেলে থাকা বন্দিদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।’
এর আগে দীর্ঘদিন আটক থাকার পর ফারুখ আবদুল্লাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। মুক্তি পেয়েছেন তাঁর ছেলে এবং জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তারপরেও মেহবুবাকে মুক্তি দেয়া হয়নি। তাঁর মেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই সর্বোচ্চ আদালত জানতে চায়, আর কতদিন মেহবুবাকে আটক করে রাখা হবে? সুপ্রিম কোর্টে সেই জবাবদিহি করতে হতো জম্মু ও কাশ্মীর এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে। তার আগেই তাঁকে মুক্তি দেয়া হলো।
সূত্র : ডয়েচে ভেলে।