সত্যিই কি ১৮ হাজার মাখলুকাত! এই কথা টি কতটুকু সত্য ?
✍সকল প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য, যিনি আমাদেরকে সর্বোত্তম দীনের অনুসারী ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূলের(সা:)উম্মত হওয়ার তাওফিক দান করেছেন।দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক রাসুল (সা:) উপর, যিনি আমাদেরকে কল্যাণকর সকল পথ বাতলে দিয়েছেন এবং সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে সতর্ক করেছেন। আর সালাম বর্ষিত হোক তার পরিবারবর্গ ও সাথীদের উপর, যারা তার আনীত দীন ও আদর্শকে যথাযথভাবে পরবর্তী উম্মতের নিকট পৌঁছে দিয়েছেন এবং কেয়ামত পর্যন্ত যারা তাদের সুন্দরভাবে অনুসরণ করবে সবার উপর। অতঃপর:
✍?প্রশ্নঃ ১৮ হাজার মাখলুকাত!এই কথা কি সঠিক?
?উত্তরেঃ কে বলল যে ১৮ হাজার মাখলুকাত?
আর একথা তো পবিত্র কুর’আনেও নেই এমনকি কোন সহীহ হাদীসেও নেই?
✍?প্রশ্ন কারিঃ কি বলেন কি!! মুফতি সাহেব যে বলল??
?উত্তর দাতাঃ ও কিসের মুফতি! যার কথা পবিত্র কুর’আনের ১টি নয়! ২টি নয়! ৩টি নয়! ৪ টি নয়! অসংখ্য আয়াতের বিরুদ্ধে যায়!! আর শুনুন! আপনাকে বলি >>আপনি কখনো মুফতি দিয়ে ইসলাম নয়” বরং ইসলাম দিয়েই মুফতি চিনবেন।
★এবার মূল প্রসঙ্গ নিয়ে বলি★
আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে অসংখ্য নেয়ামত দান করেছেন। যা মানুষ গণনা করে শেষ করতে পারবে না। তবুও তারা ঈমান আনে না। বস্তুত তারাই মূর্খ বা নির্বোধ।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
সূরা ইবরাহীম ১৪:৩৪
(وَإِنْ تَعُدُّوْا نِعْمَتَ اللّٰهِ لَا تُحْصُوْهَا ط إِنَّ الْإِنْسَانَ لَظَلُوْمٌ كَفَّارٌ )
“তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহ গণনা করলে তার সংখ্যা নির্ণয় করতে পারবে না। মানুষ অবশ্যই অতি মাত্রায় জালিম, অকৃতজ্ঞ।”
মহান আল্লাহ বলেন যদি তোমরা আল্লাহর সৃষ্টি নেয়ামত গণনা করো তবে গুনে গুনে শেষ করতে পারবে না।
সূরা আন নাহল,আয়াত: ১৮
وَإِن تَعُدُّوا۟ نِعْمَةَ ٱللَّهِ لَا تُحْصُوهَآ إِنَّ ٱللَّهَ لَغَفُورٌ رَّحِيمٌ
অর্থঃ যদি আল্লাহর নেয়ামত গণনা কর, শেষ করতে পারবে না। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
মহান আল্লাহ আরো বলেন আমার সৃষ্টি (বিশ্বজগতে) এমন অনেক কিছুই আছে “যা” তোমরা জানোনা।
সূরা আন নাহল,আয়াত: ৮
وَٱلْخَيْلَ وَٱلْبِغَالَ وَٱلْحَمِيرَ لِتَرْكَبُوهَا وَزِينَةً وَيَخْلُقُ مَا لَا تَعْلَمُونَ
অর্থঃ তোমাদের আরোহণের জন্যে এবং শোভার জন্যে তিনি ঘোড়া, খচ্চর ও গাধা সৃষ্টি করেছেন। আর তিনি এমন জিনিস সৃষ্টি করেন যা তোমরা জান না।
উল্লেখ্য যে মানুষ শ্রেষ্ঠ একথা সঠিক! কেননা এ কথা পবিত্র কুর’আনেই উল্লেখ আছে ,আল্লাহ আদম সন্তানকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। (সুরা বনি ইসরাইলি, আয়াত ৭০)
✍?কিন্তু বড়ো দুঃখের বিষয় আমাদের সমাজে এক শ্রেনীর মানুষ আছে যারা কবর,মাজার,পীর,পূজারী ,বেদাতি চল্লিশে নামক মিলাদ করে ,ঐ সমস্ত ধর্ম ব্যবসায়ীরা তারা প্রচার করে বেড়ায় ১৮ হাজার মাখলুকাত। ও ধর্ম ব্যবসায়ীরা আর কতকাল জাল কথা বলে বেড়াবেন!!! সঠিক ইসলাম টা প্রচার করুন। জনগণের আর কতকাল ভূল শিক্ষা দেবেন না ।
মাত্র ১৮ হাজার মাখলুকাত এটা কিভাবে হতে পারে…? নিজের বিবেক বুদ্ধি তথা Common Sense কে কাজে লাগান!! যেখানে পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ প্রজাতির পশু-পাখি, কিট-পতঙ্গ, উদ্ভিদ!! সমুদ্রের নিচে অসংখ্য প্রজাপতির মাছ!! সেখানে মাত্র ১৮ হাজার মাখলুকাত আল্লাহ সৃষ্টি করলেন…? এটা কি মহান আল্লাহর ও তার সৃষ্টির সংখ্যার অবমাননা নয়? আর এটাই কি তাদের ধারণা..?
ওহে অনুমান কারিরা আল্লাহ;কোরআন মাজিদে কী বলেছেন সেটা একবার দেখুন:
সূরা আয-যারিয়াত, আয়াত: ১০
قُتِلَ ٱلْخَرَّٰصُونَ
অর্থঃ অনুমানকারীরা ধ্বংস হোক,
সেইজন্যেই মহান আল্লাহ বলেন তারা (অজ্ঞ মানুষেরা) মহান আল্লাহকে যথাযথ নিরূপণ করতে পারেনি! ( অজ্ঞরা বোঝেইনি, যে আল্লাহ কি? আর তার ক্ষমতা কত বিশাল? )
{সুরা আল-যুমার, আয়াত ৬৭}
আল্লাহ্ তা’আলা অনত্র বলেন:
?সূরা আল হাজ্জ্ব,আয়াত: ৭৪
مَا قَدَرُوا۟ ٱللَّهَ حَقَّ قَدْرِهِۦٓ إِنَّ ٱللَّهَ لَقَوِىٌّ عَزِيزٌ
অর্থঃ তারা আল্লাহর যথাযোগ্য মর্যাদা বোঝেনি। নিশ্চয় আল্লাহ শক্তিধর, মহাপরাক্রমশীল।
?✍?[#বিঃদ্রঃ কোন সহীহ অথবা য”ঈফ হাদীসেও ১৮ হাজার মাখলুকাতের কথা নেই!! আর কোন সহীহ হাদীস কখনো পবিত্র কুর’আনের কোন একটি আয়াতেরও বিরুদ্ধে যাবেনা! নিঃসন্দেহে ১৮ হাজার মাখলুকাত এটা “মওযু” বা জাল হাদীস ]
কপি পোস্ট ঃ