ফেসবুক, ইউটিউব চ্যানেলসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারবিরোধী কর্মকা-ে লিপ্ত থাকার অভিযোগ এনে সাংবাদিক কনক সারওয়ার, ইলিয়াস হোসেন এবং দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার ‘গোল্ডেন’ মনিরসহ ৩৫ জনের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ইউনিট (বিএফআইইউ)। বিএফআইইউ থেকে গত রবিবার ব্যাংকগুলোতে এ সংক্রান্ত একাধিক চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে মেজর (অব) দেলোয়ার, শেখ মহিউদ্দিন আহমেদ, পিনাকী ভট্টাচার্য, সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান, শিপন কুমার বসু, ড. তুহিন মালিক, মীর জাহান, সানিউর রহমান, রবীন্দ্র ঘোষ, গবিন্দ্রচন্দ্র প্রামাণিক, একেএম ওয়াহিদুজ্জামান, আসাদুজ্জামান নূর এবং আসিফ মহিউদ্দিন ও গোল্ডেন মনিরসহ ৩০ জনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য সাত দিনের মধ্যে বিএফআইইউকে জানাতে বলা হয়েছে।
বিএফআইইউ চিঠিতে এসব ব্যক্তি, তাদের নামে প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সব ধরনের হিসাব তলব করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে সর্বশেষ লেনদেন, কেওয়াইসি ফরম এবং ট্রান্সজেকশনের প্রোফাইল চাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএফআইইউ প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান বলেন, যাদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন ওঠে, অথবা যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে যাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়, তাদের ব্যাংক হিসাব আমরা তলব করি। সাংবাদিক কনক সারওয়ার, সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনসহ অনেকের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠেছে। এ কারণে আমরা তাদের ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখছি। তিনি আরও বলেন, তারাসহ আরও অনেকের ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তাদের ব্যাংক হিসাবে কী ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে, সে ব্যাপারে এখনই বলার সময় আসেনি।
এদিকে পৃথক আরও চারটি চিঠিতে আরও ১৮ ব্যক্তি ও একটি রেক্টো লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের হিসাব চাওয়া হয়েছে। ওই ১৮ ব্যক্তি হলেন সেলিনা খাতুন, সুস্মিতা সাহানা জামান, জিন্নাত রহমান, নাজিয়া রহমান, মো. সাইদুর রহমান, রবিউল ইসলাম, মো. পারভেজ রানা, মীর মো. কাইজার হোসেন, মো. আবদুল বারিক সরকার, বেগম আনার কলি, বেগম সামছুন্নাহার, মো. সোহানুর রহমান, সেতারা পারভীন, ফেরদৌসী বেগম, মো. আল আমিন, শারমিন আক্তার, মো. ইসহাক ও সুরুজ মিয়া।