Sunday, December 10, 2023

আমাদের মুসলিমউম্মাহ ডট নিউজে পরিবেশিত সংবাদ মূলত বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সমাহার। পরিবেশিত সংবাদের সত্যায়ন এই স্বল্প সময়ে পরিসরে সম্ভব নয় বিধায় আমরা সৌজন্যতার সাথে আহরিত সংবাদ সহ পত্রিকার নাম লিপিবদ্ধ করেছি। পরবর্তীতে যদি উক্ত সংবাদ সংশ্লিষ্ট কোন সংশোধন আমরা পাই তবে সত্যতার নিরিখে সংশোধনটা প্রকাশ করবো। সম্পাদক

হোমদৈনন্দিন খবর‘স্থায়ী’ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত লিবিয়ার দুই পক্ষ, উড়ল বাণিজ্যিক বিমান

‘স্থায়ী’ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত লিবিয়ার দুই পক্ষ, উড়ল বাণিজ্যিক বিমান

লিবিয়ায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে যেতে সম্মত হয়েছে বিবদমান দুই পক্ষ। আজ শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় পাঁচ দিনের আলোচনা শেষে তারা এই চুক্তিতে পৌঁছায়। জাতিসংঘের দূতের মধ্যস্থতায় আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী সমর্থিত ত্রিপোলিভিত্তিক সরকার গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল অ্যাকর্ড (জিএনএ) ও খলিফা হাফতারের লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (এলএনএ) মধ্যে এই চুক্তি হয়। এই দুই পক্ষের মধ্যে আগামী মাসে তিউনিসিয়ায় রাজনৈতিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বিবিসির খবরে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে। কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে শুক্রবারই প্রথমবারের মতো লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে হাফতারের নিয়ন্ত্রণাধীন পূর্বাঞ্চলীয় শহর বেনগাজিতে বাণিজ্যিক বিমান চলাচল করে। এক বছরের বেশি সময় পর এই দুই অঞ্চলের মধ্যে এমন ফ্লাইট পরিচালিত হলো।

চুক্তির অংশ হিসেবে আগামী তিন মাসের মধ্যে বিদেশি ভাড়াটে যোদ্ধা ও সেনাকে লিবিয়া ত্যাগ করতে হবে। তবে আল–জাজিরার লিবিয়া প্রতিনিধি মাহমুদ আবদেলওয়াহেদ জানিয়েছেন, এই চুক্তির সফলতার সঙ্গে দুই পক্ষের বাইরে আরও অনেক বিষয় জড়িত আছে। অবশ্য এর আগেও এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে সেগুলো সফল হয়নি। দুই পক্ষই সে সময় শর্ত ভঙ্গ করেছিল।
এই চুক্তিকে লিবিয়ার জনগণের জন্য আশাপ্রদ হিসেবে অবিহিত করেন লিবিয়ায় নিযুক্ত জাতিসংঘের দূত স্টেফানি তুর্কো উইলিয়ামস। জেনেভায় তিনি দুই পক্ষের মধ্যে এ আলোচনার মধ্যস্থতাকারী ছিলেন। আলোচনায় দুই পক্ষ থেকে ৫ জন করে মোট ১০ জন সেনা কর্মকর্তা অংশ নিয়েছিলেন। স্টেফানি উইলিয়ামস আশা প্রকাশ করেন, এই চুক্তি বাস্তবায়নের ফলে লিবিয়ার বাস্তুচ্যুত ও অভিবাসী জনগণ তাদের ঘরে ফিরতে পারবে।

ন্যাটো সমর্থিত বাহিনীর অভিযানে ২০১১ সালে ক্ষমতাচ্যুত ও নিহত হন লিবিয়ার সাবেক শাসক কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফি। এরপর থেকে উত্তর আফ্রিকার তেলসম্পদে সমৃদ্ধ এই দেশে বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে সহিংসতা চলে আসছে। এতে অসংখ্য মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে, বাস্তুচ্যুত হয়েছে বহু মানুষ। বিবদমান পক্ষের মধ্যে জাতিসংঘ সমর্থিত জিএনএর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে রাজধানী ত্রিপোলিসহ আশপাশের এলাকা। অন্যদিকে জেনারেল হাফতারের এলএনএর নিয়ন্ত্রণের রয়েছে বেনগাজিসহ দেশটির পূর্বাঞ্চল।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

seventeen − 8 =

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য