বিয়ের সকল আয়োজন শেষ। এক লাখ টাকা দেনমোহরে রেজিস্ট্র বিয়েও সম্পন্ন। অনুষ্ঠানে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে এবার কনে তুলে দেওয়ার পালা। ঠিক এই সময়ে ঘটল বিবাধ। তাও আবার বিয়ের অনুষ্ঠানে পাওয়া উপহার নিয়ে। বর ও কনেপক্ষ অনুষ্ঠানে পাওয়া উপহার ভাগাভাগি নিয়ে এ দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। ফলাফল একই আসরে বিবাহ বিচ্ছেদ। শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে রাজশাহীর বাগমারায় এই ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার তেলিপুকুর গাঙ্গোপাড়া গ্রামের মহসিন আলীর (২৮) সঙ্গে উপজেলার ইসমাইলপুর গ্রামের জেসমিন আক্তারের (২৩) বিয়ে হয়। একলাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে রেজিস্ট্রি করেন নিকাহ রেজিস্ট্রার আক্কাছ আলী। বিয়ের উপহারসামগ্রীর বণ্টন নিয়ে প্রথমে মনোমালিন্য ও পরে ঝগড়া চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়। গভীর রাত পর্যন্ত চলে এ অবস্থা। বিষয়টি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মাধ্যমে থানা পর্যন্ত গড়ায়। পরে উভয়পক্ষের সমঝোতার মাধ্যমে বর-কনের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়।
কনের পরিবারের অভিযোগ, উপহারসামগ্রী নিয়ে যে শর্ত ছিল, বিয়ের আসরে তা পালন করেনি বরপক্ষ। এতে এলাকার কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বরের প্রতিবেশী ও সাবেক ইউপি সদস্য আজাহার আলী বলেন, উভয় পক্ষের উচিত ছিল শান্ত হওয়া। এমন ঘটনা কাম্য নয়।
নিকাহ রেজিস্ট্রার আক্কাছ বলেন, ‘দুই পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বর ও কনেপক্ষের মনোমালিন্যের কারণে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটেছে। বিচ্ছেদও হয়েছে দুই পক্ষের সম্মতিতে।’
বাগমারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফজাল হোসেন বলেন, বিষয়টি জানতে পেরেছি। উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে।