বেশ কিছুদিন আগে “ডয়েচ ভেলে”র এক রিপোর্টের শিরোনাম ছিল, ” রাষ্ট্রের আবার ধর্ম কিসের? ধর্ম তো মানুষের জন্য”
কমেন্টে একজন রিপ্লাই দিয়েছে, “রাষ্ট্রের আবার ভাষা কিসের? যে রাষ্ট্রভাষার জন্য জীবন দিলেন। ভাষা তো মানুষের জন্য।” যুক্তির পিঠে যুক্তি হিসেবে উত্তরটা সুন্দর হয়েছে।
টেন মিনিট স্কুলের এক ছাগলেও বলেছিল, “চলেন, রাষ্ট্রের যেহেতু ধর্ম দরকার, তাহলে রাষ্ট্রের মুসলমানি দিয়ে ফেলি।”
এসব ব্যাপারে মূল গলদ হলো, ইসলামকে ধর্ম ভাবা। আপনাকে বুঝতে হবে ইসলাম কোন ধর্ম না। ইসলাম একটি জীবনব্যবস্থা। প্রচলিত ধর্মগুলোতে কিছু মন্ত্র যপা আর উৎসবে যোগদান ছাড়া বিশেষ কোন কাজ নেই। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে অন্য আদর্শ মানতেও প্রচলিত ধর্মে কোন কিছু বলা নেই। কিন্তু ইসলাম এ ধরনের কোন রিচুয়ালসের সমষ্টি না। ইসলাম আপনাকে জীবনের প্রত্যেক ক্ষেত্রে গাইড করে। মলত্যাগের পর টিস্যু কিভাবে ইউজ করবেন সেটাও ইসলামে যেমন বলা আছে, ইসলামী রাষ্ট্রের সাথে অন্য আরেকটি অমুসলিম রাষ্ট্রের কি সম্পর্ক হবে, যুদ্ধক্ষেত্রে আপনি কাকে আঘাত করবেন আর কাকে করবেন তাও ইসলামে বলা আছে।
ইসলামকে যদি কেউ অন্য ধর্মের মত মনে করে, তবে সে ভ্রান্তিতে আছে। সে হয়ত কুরআনের কিছু অংশ মানে, আর কিছু অংশকে বর্তমান যুগের জন্য যথাযথ মনে করে না। বেশিরভাগ বংশগত মুসলিমরা এই ধরনের ধ্যান ধারণা লালন করে। আল্লাহ আমাদের সঠিকভাবে ইসলাম বুঝার তৌফিক দান করুন।
সুতরাং রাষ্ট্রের জন্য ধর্ম দরকার নেই মানলাম, কিন্তু রাষ্ট্র চালাতে কিছু নিয়ম কানুনের প্রয়োজন হয়। আর সেই নিয়ম কানুন আল্লাহ তায়ালা দিয়ে দিয়েছেন। মুসলিম হিসেবে আল্লাহর দেওয়া নিয়মে রাষ্ট্র পরিচালনা করা আপনার কর্তব্য। অন্যথায় আপনার ঈমানের দাবী আখিরাতে মিথ্যা প্রমাণিত হবে।