Sunday, January 26, 2025
No menu items!

আমাদের মুসলিমউম্মাহ ডট নিউজে পরিবেশিত সংবাদ মূলত বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সমাহার। পরিবেশিত সংবাদের সত্যায়ন এই স্বল্প সময়ে পরিসরে সম্ভব নয় বিধায় আমরা সৌজন্যতার সাথে আহরিত সংবাদ সহ পত্রিকার নাম লিপিবদ্ধ করেছি। পরবর্তীতে যদি উক্ত সংবাদ সংশ্লিষ্ট কোন সংশোধন আমরা পাই তবে সত্যতার নিরিখে সংশোধনটা প্রকাশ করবো। সম্পাদক

হোমদৈনন্দিন খবরতিন কর্মকর্তাসহ ৫১ কিশোরী ও তরুণী আটক

তিন কর্মকর্তাসহ ৫১ কিশোরী ও তরুণী আটক

দেশে ভয়াবহ করোনাকালে ঢাকার ধামরাইয়ে বিদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে ৪৮ কিশোরী ও তরুণীকে আনার অভিযোগে ক্লাসিক ফ্যাশন লিমিটেডের তিন কর্মকর্তাসহ ৫১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত গভীর রাতে তাদেরকে পৌর শহরের বাগনগর এলাকার মাস্টারবাড়ি থেকে আটক করা হয়। এদের বিদেশে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পুলিশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে বলে পুলিশ সূত্র নিশ্চিত করেছে। জর্ডানসহ বিদেশের বিভিন্ন দেশে পাচারের জন্য মাস্টারবাড়িতে জড়ো করা ওই ৪৮ জনের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ক্লাসিক ফ্যাশনের ওই তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মাদারীপুর জেলার শিবচর এলাকার বাসিন্দা মো. স্বপন মাতবর আশুলিয়া থানার রহিমপুর ক্লাসিক ফ্যাশন লিমিটেডের অফিসার পদে চাকরি করার সুবাদে রহিপুর গ্রামের মো. সফেল উদ্দিনের মেয়ে শিফা আক্তারকে বিয়ে করে বিদেশে বিভিন্ন বয়সী মেয়েদের পাঠিয়ে রাতারাতি কোটিপতি বনে যান বলে এলাকাবাসী জানান। সম্প্রতি তিনি ধামরাই পৌর শহরের বাগনগর মহল্লার মুক্তিযোদ্ধা মো. শরিফুল ইসলাম শরীফের মালিকানাধীন মাস্টারবাড়িটি প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যে কেনেন। এ সুবাদে তিনি ময়মনসিংহ, যশোর, রংপুর, কুড়িগ্রাম, মাদারীপুর, শিবচর ও ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কম বয়সী ৪৮ জন মেয়েকে বিদেশে পাচারের জন্য তার সদ্য কেনা বাড়িতে নিয়ে আসেন বুধবার দিবাগত রাতে।

মাইক্রোবাসে বারবার বেডিংপত্রসহ এসব মেয়েকে আনা হলে বিষয়টি মহল্লাবাসীর দৃষ্টিগোচর ও সন্দেহের সৃষ্টি হয়। করোনাকালে একটি বাড়িতে গাদাগাদি করে এসব মেয়েকে রাখায় এলাকাবাসী বিষয়টি ধামরাই থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। বিষয়টি তাদের কাছে সন্দেহজনক মনে হলে ক্লাসিক ফ্যাশন লিমিটেডের কর্মকর্তা মো. স্বপন মাদবর, তার খালাতো ভাই মো. রাসেল হোসেন ও নারী কর্মকর্তা নার্গিস আক্তারসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। বিদেশে পাচারের জন্য জড়ো করা ওই ৪৮ জন মেয়েকে মাস্টারবাড়িতেই পুলিশ মোতায়েন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়। ক্লাসিক ফ্যাশন লিমিটেডের মাধ্যমে জর্ডানসহ বিভিন্ন দেশে নারীদের পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার সকালে ধামরাই থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন সঙ্গীয় অফিসার নিয়ে ঢাকাস্থ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রাণালয়ে গিয়েছেন বলে পুলিশ সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এ ব্যাপারে ক্লাসিক ফ্যাশন লিমিটেডের কর্মকর্তা মো. স্বপন মাদবর বিদেশে নারীদের পাঠানোর বিষয় স্বীকার করে বলেন, এ প্রতিষ্ঠানের মালিক হচ্ছে ভারতের সান্নাল কেরালা। আমি দীর্ঘদিন ক্লাসিক ফ্যাশন লিমিটেডে কর্মরত। বহু নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে বিদেশে পাঠিয়েছি। আমাদের কাজের স্বচ্ছতার জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পেয়েছি। বায়রার সভাপতি ও ধামরাই আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদও আমার প্রতিষ্ঠানের মালিক ও আমাকে চেনেন। তার দফতর থেকেও পুরস্কার পেয়েছি।

পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মো. কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এলাকাবাসী আমাদের অবহিত করলে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। বিদেশে পাঠানোর জন্য আনা ওই ৪৮ জন মেয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে মাস্টারবাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ক্লাসিক ফ্যাশন লিমিটেডের তিন কর্মকর্তাকে থানায় আনা হয়েছে। বিদেশে নারীদের পাঠানোর বিষয়টি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এসেছি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

five − one =

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য