দিবানিশি ছয়জনা,
দিচ্ছে মনে কুমন্ত্রণা।
মানুষের ভিতরে ছয়টি রিপু আছে। সেই ছয়টি রিপু মানুষকে বিভিন্ন নিষিদ্ধ কাজে প্রলুব্ধ ক’রে।
মনীষারা এদের নাম করন করেছেন এভাবে-
১.কাম ২.ক্রোধ ৩.লোভ
৪.মোহ ৫.মদ ৬.মাৎসর্য্য
এদের আরবীতে বলা হয় “নফ্স” বা আত্মার স্বারুপ।
নফসকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. নফসে আম্মারা
২. নফসে লাউয়ামাহ্
৩. নফসে মুত্মাইন্না
————————-
নফসে আম্মারা –
————————-
কু-প্রবৃত্তিমূলক আত্মার প্রথম স্তর। জাহান্নামি আত্মা যারা শয়তানি বা অবাধ্যকারি আল্লাহ কর্তৃক অভিশপ্ত।
——————————–
নফসে লাউয়ামাহ্-
———————————
বিবেক তাড়িত বা তিরষ্কারকারি আত্মা। যাকে ইনসানিয়াত বা মানবিক আত্মা বলা হয়ে থাকে। যা ভালমন্দের পার্থক্যকারি।
—————————-
নফসে মুত্মাইন্না-
—————————-
প্রশান্ত আত্মা বা প্রফুল−চিত্ত জান্নাতি আত্মাও বলা হয়ে থাকে।
ছয় রিপুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আল্লাহ মানুষের জন্য সংবিধান দিয়েছে। জানিয়ে দিয়েছেন মানুষকে রুপান্তর হতে হবে মুমিনে।
মানুষকে যদি ‘সেরা জীব’ এই পদকটি পেতে হয় তবে প্রতিটি মানুষকেই যুদ্ধ করতে হবে দুস্ট নফসদের সাথে।
মানুষকে হতে হবে মুমিন। আর এই যুদ্ধই হবে জিহাদ।
যুদ্ধ হবে ব্যাক্তির আপন নফসের সাথে।
যুদ্ধ হতে হবে ব্যক্তি থেকে পরিবারে।
পরিবার থেকে সমাজে।
সমাজ থেকে রাস্ট্রের মাঝে।
এই যুদ্ধ হল হক এবং বাতিল অর্থাৎ সত্য ও মিথ্যার মধ্যে যুদ্ধ।
যুদ্ধ হতে হবে সবগুলিই দুষ্ট রিপু তাড়িত উম্মাদ নফসের বিরুদ্ধে।
যুদ্ধের মাঝে অর্জিত হয় গনিমত বা যুদ্ধে প্রাপ্ত সম্পদ। এই গনিমত বন্টনের পরও যা অতিরিক্ত থাকে তা হল আনফাল।
যা أنفال نفل শব্দের বহুবচন। যার অর্থ অতিরিক্ত। যা আসলে প্রাপ্ত অতিরিক্ত সম্পদ।
আনফালঃ- প্রাপ্ত হওয়ার পরও অতিরিক্ত প্রাপ্তি। আনফালঃ- আল্লাহর পক্ষ থেকে বৈধ অতিরিক্ত দান।
কি সেই সম্পদ বা আনফাল?
– সেই সম্পদ যা মুলত আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সম্পদ। যা একজন জিহাদকারীই পাবে, অন্য কেহ নয়।
আর সেই সম্পদ হলঃ-
***************************
১. আল্লাহর ভয়
২. আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য
৩. পারস্পরিক সম্পর্কের সুষ্ঠু সুন্দর ভিত্তি
এই যুদ্ধে কারা করবেঃ-
*************************
১. আল্লাহকে স্মরণ করলে যাদের অন্তরসমূহ কেঁপে উঠে
২. আল্লাহর আয়াতসমূহ পাঠ করা হলে যাদের ঈমান বৃদ্ধি হয়
৩. যারা তাদের রবের উপরই ভরসা করে
৪.যারা সালাত কায়েম করে
৫. তারা প্রাপ্ত রিযক থেকেই ব্যয় করে
মানুষের রুপান্তর
****************
যারা এই পাঁচটি বৈশিষ্ট্য ধারন করতে পারবে তারাই মানুষ থেকে রুপান্তরিত হয়ে মুমিনে পরিবর্তিত হবে। ইনশাআল্লাহ।
তারাই হবে প্রকৃত মুমিন। যাদের জন্য তাদের রব- এর কাছে থাকবে আনফাল বা অতিরিক্ত পুরুস্কার
১.উচ্চ মর্যাদাসমূহ,
২. ক্ষমা,
৩. সম্মানজনক জীবিকা
অনুধাবন
—————
বর্তমান সময়ের বাস্তবতা ও দাবি অনুযায়ী বিষয়গুলো জানা ও মানা খুবই জরুরি।
দু আ
—————
মহান আল্লাহ আমাদের প্রকৃত মুমীন হওয়ার যোগ্যতা দান করুন।
আমীন