স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে ৭৫ কোটি টাকা মূল্যের সাপের বিষসহ আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মাসুদ রানা, ছফির উদ্দিন শানু, তমজিদুল ইসলাম মনির, আলমগীর হোসেন, ফিরোজা বেগম, আসমা বেগম। গতকাল শুক্রবার সকালে র্যাব-২ এর মিডিয়া কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান থানার ৫০ নম্বর ওয়ার্ড গুলবার মুন্সি সরণি এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব। এসময় আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের ছয় সদস্যকে বিপুল পরিমাণ সাপের বিষসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে ৬টি কাচের জার উদ্ধার করা হয়। এ জারগুলোতে প্রায় ৮.৯৬ কেজি (জারসহ) সাপের বিষ পাওয়া যায়। এই বিষের আনুমানিক বাজার মূল্য ৭৫ কোটি টাকা।
এছাড়া তাদের ব্যাগে থাকা সাপের বিষ সংক্রান্ত সিডি ও সাপের বিষের ম্যানুয়াল বই ও ৫ টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবকে জানিয়েছে, একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর কাছে সাপের বিষের ব্যাপক চাহিদা থাকায় অধিক মুনাফার লোভে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাপের বিষ সংগ্রহ করে তারা চোরাচালান করে আসছে। তারা আন্তর্জাতিক সাপের বিষ চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য। গ্রেপ্তার চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের এই কর্মকর্তা।
বাস ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৭ : রাজধানীর শ্যামলীতে এ কে ট্রাভেলসের একটি বাসে যাত্রীবেশে ডাকাতির ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. ফকরুল কবির শান্ত (২৩), মো. রফিক (২৬), মো. রিয়াজ (২৪), মো. রাসেল (২৭), মো. শাহ জামাল (৩০), হারুন অর রশীদ (২৩) ও মো. হুমায়ন কবির (২৫)। তাদের কাছ থেকে ডাকাতিকাজে ব্যবহৃত তিনটি ছুরি, তিনটি চাপাতি, একটি সুইচ গিয়ার, দুটি ওয়াকিটকি ও লুণ্ঠিত হাজার টাকা ও ১০টি মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়।
গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মো. আনিচ উদ্দীন জানান, গত ১৯ ডিসেম্বর শ্যামলীতে এ কে ট্রাভেলসের একটি বাসে যাত্রীবেশে ওঠে একদল ডাকাত। বাসে উঠেই ডাকাতদল প্রথমে বাসের চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারের হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। এরপর ডাকাতদের একজন গাড়িটি চালাতে থাকে। তারা বাড্ডা ও কুড়িলসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বাস নিয়ে ঘুরে ঘুরে যাত্রী ওঠায়। বাসে ওঠার পর দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে যাত্রীদের কাছে থাকা টাকা, মোবাইলফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। সকাল হয়ে গেলে খিলক্ষেত এলাকায় রাস্তার পাশে বাসটি থামিয়ে ডাকাতদল পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ২০ ডিসেম্বর আদাবর থানায় একটি মামলা রুজু হয়। অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মো. আনিচ উদ্দীন জানান, মামলাটি থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা-তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনাল টিম তদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা বিভাগের এই টিম মোহাম্মদপুর, মিরপুর, সাভার ও গাবতলীসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত ডাকাতদলের উল্লিখিত সাত সদস্যকে গ্রেফতার করে।