রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরে যারা সুন্নাহর ইমাম, দাওয়াত ও হিদায়াতের ইমাম ও পথপ্রদর্শক তাদের সম্পর্কে না জানলে আমরা দীন নেওয়ার ক্ষেত্রে ভুল করবো। তাই আমাদের উচিত এ সব সম্মানিত পূর্বসূরীদের জেনে নেওয়া। নিম্নে আমি তাদের মধ্যে যারা প্রসিদ্ধ তাদের নাম বর্ণনা করছি:
• সাহাবায়ে কিরামের সবাই। তবে তাদের মধ্যে যারা এ ব্যাপারে বিখ্যাত তারা হচ্ছেন,
আবু বকর আস-সিদ্দীক, ‘উমার ইবনুল খাত্তাব, উসমান, আলী, যুবাইর, সা‘দ ইবন আবী ওয়াক্কাস, সা‘ঈদ ইবন যাইদ, ‘আব্দুর রহমান ইবন ‘আউফ, আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ, মু‘আয ইবন জাবাল, উবাই ইবন কা‘ব, আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস, আব্দুল্লাহ ইবন উমার, আব্দুল্লাহ ইবন আমর ইবনুল ‘আস, আব্দুল্লাহ ইবনুয যুবাইর, যায়েদ ইবন সাবেত, আবুদ দারদা, উবাদাহ ইবনুস সামেত, আবু মূসা আল-আশ‘আরী, ইমরান ইবন হুসাইন, আম্মার ইবন ইয়াসির, আবু হুরায়রা, হুযাইফাহ ইবনুল ইয়ামান, উক্ববাহ ইবন ‘আমের আল-জুহানী, সালমান, জাবের, আবু সা‘ঈদ আল-খুদরী, হুযাইফা ইবন আসীদ আল-গিফারী, আবু উমামাহ সুদাই ইবন আজলান, জুনদুব ইবন ‘আব্দুল্লাহ, আবু মাসউদ উকবাহ ইবন আমর, উমাইর ইবন হাবীব ইবন খুমাশাহ, আবুত তুফাইল ‘আমের ইবন ইবনু ওয়াসিলা, ‘আয়েশা ও উম্মে সালামাহ রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহুম।
• তাবে‘ঈ ও তাবে তাবে‘ঈগণের মধ্যে:
১- মদীনাবাসীদের মধ্য হতে,
প্রথম স্তর:
সা‘ঈদ ইবনুল মুসাইয়্যেব, ‘উরওয়াহ ইবনুয যুবাইর, কাসেম ইবন মুহাম্মাদ ইবন আবী বাকর, সালেম ইবন আব্দুল্লাহ ইবন ‘উমার, সুলাইমান ইবন ইয়াসার, মুহাম্মাদ ইবনুল হানাফিয়্যাহ, আলী ইবনুল হুসাইন ইবন ‘আলী, মুহাম্মাদ ইবন আলী ইবন হুসাইন, উমার ইবন আব্দুল আযীয, কা‘ব ইবন মাতে‘ আল-আহবার, যায়েদ ইবন আসলাম।
দ্বিতীয় স্তর:
মুহাম্মাদ ইবন মুসলিম আয-যুহরী, রাবী‘আহ ইবন আবী ‘আব্দির রহমান, আব্দুল্লাহ ইবন ইয়াযীদ ইবন হুরমুয, যায়েদ ইবন আলী ইবনুল হুসাইন, আব্দুল্লাহ ইবন হাসান, জা‘ফর ইবনু মুহাম্মাদ আস-সাদেক।
তৃতীয় স্তর:
আবু আব্দুল্লাহ মালেক ইবন আনাস আল-ফকীহ, ‘আব্দুল আযীয ইবন আবী সালামাহ আল-মাজেশুন, তারপর তার ছেলে আব্দুল মালেক ইবন আব্দুল আযীয, ইসমা‘ঈল ইবন আবি উয়াইস, আবু মুস‘আব আহমাদ ইবন আবী বকর আয-যুহরী।
তাছাড়া তাদের সাথে ইলমের দিক থেকে যুক্ত হবেন, ইয়াহইয়া ইবন আবী কাসীর আল-ইয়ামামী।
২- মক্বাবাসী ও তাদের সাথে যুক্ত:
‘আতা ইবন আবী রাবাহ, ত্বাউস ইবন কাইসান, মুজাহিদ, ইবন আবী মুলাইকাহ
তারপর তাদের স্তরে রয়েছেন,
আমর ইবন দীনার, আব্দুল্লাহ ইবন ত্বাউস, তারপর ইবন জুরাইজ, নাফে‘ ইবন উমার আল-জুমাহী, সুফইয়ান ইবন ‘উয়াইনাহ, ফুদ্বাইল ইবন ‘ইয়াদ্ব, মুহাম্মাদ ইবন মুসলিম আত-ত্বায়েফী, আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবন ইদ্রীস আশ-শাফে‘ঈ আল-ফকীহ, তারপর আব্দুল্লাহ ইবন ইয়াযীদ আল-মুকরি, আব্দুল্লাহ ইবনুয যুবাইর আল-হুমাইদী।
৩- শামদেশ ও তার সাথে সম্পৃক্ত এলাকা:
আব্দুল্লাহ ইবন মুহাইরীয, রাজা ইবন হাইওয়াহ, উবাদাহ ইবন নুসাই, মাইমূন ইবন মিহরান, আব্দুল কারীম ইবন মালেক আল-জাযারী।
তারপর, আব্দুর রহমান ইবন ‘আমর আল-আওযা‘ঈ, মুহম্মাদ ইবন ইয়াযীদ আয-যুবাইদী, সা‘ঈদ ইবন ‘আব্দুল আযীয আত-তানূখী, আব্দুর রহমান ইবন ইয়াযীদ ইবন জাবের, আব্দুল্লাহ ইবন শাওযাব, আবু ইসহাক্ব ইবরাহীম ইবন মুহাম্মাদ আল-ফাযারী।
তারপর, আবু মুসহির আব্দুল আ‘লা ইবন মুসহির আদ-দিমাশকী, হিশাম ইবন ‘আম্মার আদ-দিমাশকী, মুহাম্মাদ ইবন সুলাইমান আল-মিসসীসী যিনি ‘লুওয়াইন’ নামে খ্যাত।
৪- মিশরবাসীদের মধ্য হতে,
হাইওয়াহ ইবন শুরাইহ, লাইস ইবন সা‘দ, আব্দুল্লাহ ইবন লাহিই‘আহ
তারপর, আব্দুল্লাহ ইবন ওয়াহাব, আশহাব ইবন আব্দুল আযীয, আব্দুর রহমান ইবনুল কাসেম, আবু ইবরাহীম ইসমা‘ঈল ইবন ইয়াহইয়া আল-মুযানী, আবু ইয়া‘কূব ইউসুফ ইবন ইয়াহইয়া আল-বুওয়াইত্বী, আর-রবী‘ ইবন সুলাইমান আল-মুরাদী, মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুল হাকাম আল-মিসরী।
৫- কুফাবাসীদের মধ্য হতে,
‘আলক্বামাহ ইবন কায়েস, ‘আমের ইবন শারাহীল আশ-শা‘বী, আবুল বাখতারী সা‘ঈদ ইবন ফাইরূয, ইবরাহীম ইবন ইয়াযীদ আন-নাখা‘য়ী, ত্বালহাহ ইবন মুসাররিফ, যুবাইদ ইবনুল হারিস, হাকাম ইবনু ‘উতাইবাহ, মালেক ইবন মিগওয়াল, আবু হাইয়্যান ইয়াহইয়া ইবন সা‘ঈদ আত-তাইমী, আব্দুল মালেক ইবন আবজার, হামযাহ ইবন হাবীব আয-যাইয়্যাত আল-মুকরী, মুহাম্মাদ ইবন আবদুর রহমান ইবন আবী লাইলা, সুফইয়ান ইবন সা‘ঈদ আস-সাওরী, শারীক ইবন ‘আব্দুল্লাহ আল-ক্বাযী, যায়েদাহ ইবনু ক্বুদামাহ, আবু বকর ইবন আইয়্যাশ, আব্দুল্লাহ ইবন ইদরীস, আব্দুর রহমান ইবন মুহাম্মাদ আল-মুহারেবী, ইয়াহইয়া ইবন ‘আব্দুল মালেক ইবন আবী গানিয়্যাহ, ওয়াকী‘ ইবনুল জাররাহ, আবু উসমাহ হাম্মাদ ইবন উসামাহ, জা‘ফার ইবন ‘আউন, মুহাম্মাদ ইবন উবাইদ আত-ত্বানাফিস, আবু নু‘আইম আল-ফাদ্বলু ইবন দুকাইন, আহমাদ ইবন ‘আব্দুল্লাহ ইবন ইউনুস, আবু বকর ইবন আবী শাইবাহ, তাঁর ভাই উসমান, আবু কুরাইব মুহাম্মাদ ইবনুল ‘আলা আল-হামাযানী।
৬- বাসরাবাসীদের মধ্য হতে,
আবুল ‘আলীয়া রুফাইহ ইবন মিহরান আর-রিয়াহী- বনী রিয়াহ এর এক মহিলার দাস, হাসান ইবন আবিল হাসান আল-বাসরী, মুহাম্মাদ ইবন সীরীন, আবু ক্বিলাবাহ আব্দুল্লাহ ইবন যায়েদ আল-জারমী।
তাদের পরে, আবু বকর আইয়্যূব ইবন আবী তামীমাহ আস-সাখতিয়ানী, ইউনুস ইবন ‘উবাইদ, আব্দুল্লাহ ইবন ‘আউন, সুলাইমান আত-তাইমী, আবু ‘আমর ইবনুল ‘আলা, তারপর হাম্মাদ ইবন সালামাহ, হাম্মাদ ইবন যায়েদ, ইয়াহইয়া ইবন সা‘ঈদ আল-ক্বাত্তান, মু‘আয ইবন মু‘আয, তারপর আব্দুর রহমান ইবন মাহদী, ওয়াহাব ইবন জারীর, আবুল হাসান ‘আলী ইবন আব্দুল্লাহ ইবন জা‘ফার আল-মাদীনী, আব্বাস ইবন আব্দুল আযীম আল-‘আনবারী, মুহাম্মাদ ইবন বাশশার, সাহল ইবন আব্দুল্লাহ আত-তুসতারী।
৭- ওয়াসিত্ববাসীদের মধ্য হতে,
হুশাইম ইবন বাশীর আল-ওয়াসেত্বী, ‘আমর ইবনু ‘আউন, শায ইবনু ইয়াহইয়া, ওয়াহাব ইবন বাকিয়্যাহ, আহমাদ ইবন সিনান।
৮- বাগদাদীদের মধ্য হতে,
আবু আব্দুল্লাহ আহমাদ ইবন মুহাম্মাদ ইবন হানবাল, আবু যাকারিয়্যা ইয়াহইয়া ইবন মা‘ঈন, আবু ‘উবাইদ কাসেম ইবন সাল্লাম, আবু সাওর ইবরাহীম ইবন খালেদ আল-কালবী, আবু খাইসামাহ যুহাইর ইবন হারব, হাসান ইবনুস সাব্বাহ আল-বাযযার, আহমাদ ইবন ইবরাহীম আদ-দাওরাক্বী, মুহাম্মাদ ইবন জারীর আত-ত্বাবারী, আহমাদ ইবন সালমান আন-নাজ্জাদ আল-ফক্বীহ, আবু বকর মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান আন-নাক্বাশ আল-মুকরী।
৯- মুওসেলবাসীদের মধ্যে,
আল-মু‘আফা ইবন ইমরান আল-মুওসেলী।
১০- খোরাসানবাসীদের মধ্য হতে,
আবু আব্দুর রহমান আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক আল-মারওয়াযী, আল-ফাদ্বল ইবন মূসা আস-সীনানী, আন-নাদ্বর ইবন মুহাম্মাদ আল-মারওয়াযী, আন-নাদ্বর ইবন শুমাইল আল-মাযেনী, নু‘আইম ইবন হাম্মাদ আল-মারওয়াযী, ইসহাক্ব ইবন ইবরাহীম ইবন মাখলাদ- যিনি ইবন রাহওয়াইহ আল-মারওয়াযী নামে খ্যাত, আহমাদ ইবন সাইয়্যার আল-মারওয়াযী, মুহাম্মাদ ইবন নাসর আল-মারওয়াযী, ইয়াহইয়া ইবন ইয়াহইয়া আন-নাইসাপূরী, মুহাম্মাদ ইবন ইয়াহইয়া আয-যুহলী, মুহাম্মাদ ইবন আসলাম আত-ত্বূসী, হুমাইদ ইবন যানজাওয়াইহ আন-নাসাওয়ী, আবু ক্বুদামাহ উবাইদুল্লাহ ইব সা‘ঈদ আস-সারাখসী, আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুর রহমান আস-সামারকান্দী, মুহাম্মাদ ইবন ইসমা‘ঈল আল-বুখারী, ইয়া‘কূব ইবন সুফইয়ান আল-ফাসাওয়ী, আবু দাঊদ সুলাইমান ইবনুল আস‘আস আস-সিজিস্তানী- বাসরায় বসবাসকারী, আবু আব্দুর রহমান আন-নাসাওয়ী, আবু ‘ঈসা মুহাম্মাদ ইবন ‘ঈসা আত-তিরমিযী, মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক্ব ইবন খুযাইমাহ, মুহাম্মাদ ইবন ‘আকীল আল-বালখী।
১১- রাই এর অধিবাসীদের মধ্য হতে,
ইবরাহীম ইবন মূসা আল-ফাররা, আবু যুরআহ উবাইদুল্লাহ ইবন আব্দুল কারীম আর-রাযী, আবু হাতেম মুহাম্মাদ ইবন ইদরীস আল-হানযালী, আবু উবাইদুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবন মুসলিম ইবন ওয়ারাহ, আবু মাস‘উদ আহমাদ ইবনুল ফুরাত -যিনি ইসফাহানে বসবাস করতেন।
তাদের পরে রয়েছেন,
আব্দুর রহমান ইবন আবী হাতেম।
১২- তাবারীস্থানের মধ্য হতে,
ইসমা‘ঈল ইবন সা‘ঈদ আস-শাালাঞ্জী, হুসাইন ইবন আলী আত-ত্বাবারী, আবু নু‘আইম আব্দুল মালেক ইবন ‘আদী আল-ইস্তারাবাযী, আলী ইবন ইবরাহীম ইবন সালামাহ আল-ক্বাত্তান আল-কাযওয়ীনী।