তাহিরপুর সীমান্তের ওপএর মৃত সাইদুর রহমানের লাশ ২ দিন পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। সাইদুর তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের বড়গোফ টিলা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় তাহিরপুর সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১২০০/৩ এস এর শাহিদাবাদ এলাকায় বিজিবি ও বিএসএফ এর পতাকা বৈঠক শেষে সুনামগঞ্জ-২৮ ব্যাটালিয়ন বিজিবি ও তাহিরপুর থানা পুলিশের কাছে তার লাশ হস্থান্তর করে।
লাশ হস্থান্তরের সময় লাউড়েরগড় বিজিবি ও তাহিরপুর থানা পুলিশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, লাউড়েরগড় বিজিবির ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার আব্দুর রাজ্জাক ও তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ক্যাম্প ইনচার্জ রাজিবুল ইসলাম এবং ভারতীয় শিলং সেক্টরের ১১ বিএসএফ-এর ক্যাপ্টেন অরবিন্দ সিং ও ভারতীয় পুলিশের কর্মকর্তারা।
তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. রাজিবুল ইসলাম সমকালকে জানান, নিহতের শরীরে কোনো গুলি বা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এটি হত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে জানা যাবে।
এর আগে কয়লা শ্রমিক সাইদুর রহমান ২২ মার্চ সোমবার ভোর সকালে সীমান্ত নদী যাদুকাটার ভারতীয় অংশের ঘোমাঘাট এলাকায় কয়লা কুড়াতে যায়। পরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রায় ১ কিলোমিটার ভেতরে নলিকাটা থানার ঘোমাঘাট এলাকায় তার লাশ পাওয়া যায়। পরে ২৩ মার্চ মঙ্গলবার ভারতীয় পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিজিবি ও পুলিশের কাছে তার লাশ হস্থান্তর করে। বিজিবি ও পুলিশ রাত ৯টার সময় আইনি প্রক্রিয়া শেষে সাইদুর রহমানের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্থান্তর করে।