নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় আদালতে কোনো নারী সংগঠন এগিয়ে না আসায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ উষ্মা প্রকাশ করেন। সকালে নারী নির্যাতনের এ ঘটনা আদালতের নজরে এনে ওই ভিডিও অপসারণসহ প্রয়োজনীয় নির্দেশনার আরজি জানান বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একদল পুরুষ আইনজীবী। আদালত তাদের লিখিত আবেদন নিয়ে আসতে বলেন।
দুপুরে শুনানি শেষে আদালত কয়েকটি আদেশের পাশাপাশি একটি রুল জারি করেন। পরে এডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল সাংবাদিকদের জানান, আদালত কয়েকটি নির্দেশনাসহ একটি রুল জারি করেছেন। কয়েকটি অবজারভেশনও দিয়েছেন। তবে আদালত একটি বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। আদালত নারী সংগঠনের বিষয়ে বলেন, দেশে এতো এতো নারী সংগঠন। তারা আজ কোথায়? তারা কেনো এ ঘটনার বিচার চেয়ে আদালতের কাছে আসলো না। সত্যিই অবাক হলাম। এতো নারী সংগঠনা থাকা সত্ত্বেও একটি নারী সংগঠনও নারী নির্যাতনের এ রোমহর্ষক ঘটনার বিচার চেয়ে আদালতে আসেনি।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেডআই খান পান্না, মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, এ এম জামিউল হক ফয়সাল। শুনানিতে অংশ নেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন ও সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
গত ২রা সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার ৩২ দিন পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর গত ৪ঠা অক্টোবর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এর আগে গত রোববার রাতে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন।