বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
كَيْفَ تَكْفُرُونَ بِاللَّهِ وَكُنتُمْ أَمْوَاتاً فَأَحْيَاكُمْ ثُمَّ يُمِيتُكُمْ ثُمَّ يُحْيِيكُمْ ثُمَّ إِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
কেমন করে তোমরা আল্লাহর ব্যাপারে কুফরী অবলম্বন করছ? অথচ তোমরা ছিলে নিষ্প্রাণ। অতঃপর তিনিই তোমাদেরকে প্রাণ দান করেছেন, আবার মৃত্যু দান করবেন। পুনরায় তোমাদেরকে জীবনদান করবেন। অতঃপর তারই প্রতি প্রত্যাবর্তন করবে।
(সুরা বাকারাঃ আয়াত নং ২৮)
বিশ্বাস, বিজ্ঞান ও যুক্তির পরিচয়ঃ
স্রষ্টার অস্তিত্ব নিয়ে আলোচনা করতে হলে তিনটি শব্দ আবশ্যিক ভাবেই সামনে চলে আসে, আর তাহলো বিশ্বাস, বিজ্ঞান এবং যুক্তি। আর তাই স্রষ্টার অস্তিত্ব প্রমাণের মূল আলোচনায় অগ্রসর হওয়ার আগে আমাদের শব্দ গুলো নিয়ে একটু ধারনা নেয়া প্রয়োজন।
বিশ্বাস কি? উইকিপিডিয়ার মতে বিশ্বাসের সর্বজন গ্রাহ্য কোনো সংজ্ঞা নেই, তবে তার একটি সাধারণ সংজ্ঞা সেখানে পাওয়া যায়ঃ
বিশ্বাস বলতে সাধারণতঃ পারিপার্শ্বিক বিষয়–বস্তুরাজি ও জগৎ সম্পর্কে কোনো সত্ত্বার স্থায়ী–অস্থায়ী প্রত্যক্ষণকৃত ধারণাগত উপলব্ধি বা জ্ঞান এবং তার নিশ্চয়তার উপর আস্থা বোঝানো হয় । বিশ্বাস মানে হতে পারে আস্থা (faith) , ভরসা (trust) । বিশ্বাসের দৃঢ়তা (বিশ্বাস যত বেশি সন্দেহ তত কম) যা খুব বেশি হলে তাকে বলা যায ভক্তি বা অন্ধবিশ্বাস । আবার বিশ্বাস মানে হতে পারে আশা (hope) বা আশ্বাস (assurance) বা বিশ্বাস করার ইচ্ছা (willingness to trust) ।
বিশ্বাস হতে পারে কোন বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ অনুভূতির সচেতন অনুধাবন; বা কোনো তথ্য (information) বোধগম্য হওয়া; এবং বিভিন্ন পরিস্থিতিতে যাচাই করার পর এই বোধের নিশ্চয়তা সম্বন্ধে প্রত্যয় বা প্রতীতি জন্মালে (সত্য বলে স্থায়ী ধারণা) হলে তাকে জ্ঞান (knowledge) বলা যায়। পর্যবেক্ষণের উপর যুক্তির (ও পূর্বলব্ধ জ্ঞানের) সাহায্যে বিচার (deduction) করে কোন বিষয় সত্য বলে সিদ্ধান্ত নিলে তা থেকে নতুন জ্ঞান জন্মায়। এইভাবে মনের মধ্যে উপলব্ধ সত্যগুলিকে জুড়ে যে তত্ত্বের জাল বোনা হতে থাকে তাদের বিষয়বস্তুগুলি সামগ্রিকভাবে হল জ্ঞান আর তাদের গ্রহণযোগ্যতার সচেতন অনুমোদন হল বিশ্বাস।
‘Oxford Advanced Learners Dictionary’ মতে বিশ্বাসের সংজ্ঞা হলোঃ ‘a strong feeling that something/somebody exists or is true; confidence that something/somebody is good or right’ “কোনো বস্তু বা কোনো ব্যাক্তির অস্তিত্ব বা সত্যতা আছে এ সম্পর্কিত শক্তিশালী অনুভুতি; কোনো বস্তু বা ব্যাক্তি ভালো বা সঠিক এমন আস্থা।”
‘Merrium Webstar Dictionary’ অনুযায়ী উপরোক্ত সংজ্ঞার সাথে আরো একটি সংজ্ঞা যোগ করা যায় আর তাহলোঃ conviction of the truth of some statement or the reality of some being or phenomenon especially when based on examination of evidence “ কোনো বিবৃতির সত্যতা সম্পর্কে বা কোনো সত্ত্বার অথবা ঘটনার বাস্তবতার ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয় জন্মানো হলো বিশ্বাস, বিশেষ করে তা যখন কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ পরীক্ষার মাধ্যমে অর্জিত হয়।”
উপরোক্ত সংজ্ঞার আলোকে আমরা এই অনুসিদ্ধান্তে আসতে পারি যে, বিশ্বাস হচ্ছে আপাত উপস্থিত ( সত্য বলে ধরে নেয়া) কোনো সুত্র বা তথ্য বা উপাত্ত এর উপর ভিত্তি করে মানব মনে আশ্রয় নেয়া গভীর বা প্রচ্ছন্ন ধারনার অনুভুতি। বিশ্বাসের গভীরতা বাড়ে বা কমে তথ্য বা উপাত্তের গুনগত মানের উপর। এই তথ্য বা উপাত্ত হতে পারে প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষন লব্ধ, তা হতে পারে কোনো পর্যবেক্ষকের কাছে থেকে শ্রুত বা পঠিত, কিংবা বংশানুক্রমে প্রাপ্ত তথ্যের মাধ্যমে। তথ্য বা উপাত্ত পরিবর্তিত হলে মানুষের বিশ্বাসেরও পরিবর্তন হয়।
তবে উপস্থাপিত তথ্য বা উপাত্ত্বের বিপরীত বিন্দুতে দাঁড়িয়েও অনেক প্রত্যয় মানুষের থাকে আর তাকে বলে ভুল বিশ্বাস, অনেক ক্ষেত্রে অন্ধ বিশ্বাস।
একটি উদাহরণ দিলে ব্যাপারটি পরিস্কার হবে, আমাদের দেশে এক সময় অনেকের ধারনা ছিলো ( কিংবা অশিক্ষিত অনেক জনগোষ্ঠীর মধ্যে এখনো আছে) যে, মানুষের দাঁতে পোকা হয়। অনেক প্রতারক কবিরাজ এই বিশ্বাস পোক্ত করার জন্য দাঁত থেকে পোকা বের করে দেখিয়েও থাকে। কিন্তু আধুনিক দন্ত চিকিৎসার প্রসারের ফলে মানুষের সেই বিশ্বাসের পরিবর্তন হয়েছে। মানুষ এখন বিশ্বাস করে দাঁতে পোকা বলে কিছু নেই। এখনো যাদের কাছে আধুনিক জ্ঞান পৌছেনি তারা এখনো ভুল বিশ্বাসের মধ্যেই রয়ে গেছে, দাঁতের পোকাই তাদের কাছে সত্য। অথবা জ্ঞান পৌছানোর পরেও তারা দাঁতের পোকার অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে এখনো আছে।
আল-কুরানুল কারীমের অসংখ্য আয়াতে আল্লাহ আমাদের তথ্য দিয়েছেন, তিনি আমাদের একমাত্র উপাস্য, আমাদের সৃষ্টিকর্তা, আমাদের পালন কর্তা, তাঁর উপরই আমাদের ঈমান আনতে হবে, তাঁরই ইবাদত করতে হবে। সেরূপ একটি আয়াত হলোঃ
إِنَّنِي أَنَا اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنَا فَاعْبُدْنِي وَأَقِمِ الصَّلَاةَ لِذِكْرِي
আমিই আল্লাহ আমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। অতএব আমার এবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে নামায কায়েম কর।
(সুরা ত্বাহাঃ আয়াত নং-১৪)
তিনি আরো বলেনঃ
إِنَّا كُلَّ شَيْءٍ خَلَقْنَاهُ بِقَدَرٍ
আমি প্রত্যেক বস্তুকে পরিমিতরূপে সৃষ্টি করেছি।
(সুরা ক্বামারঃ আয়াত নং-৪৯)
যদি এমন কোনো গ্রন্থ, যা সন্দেহাতীত ভাবে বিশুদ্ধ বলে প্রমাণিত, সেখানে যদি কোনো তথ্য থাকে, তাহলে তা বিশ্বাস না করে কোনো উপায় থাকেনা।
বিজ্ঞান কি? বিশ্বাসের মতো বিজ্ঞানের সংজ্ঞার ক্ষেত্রে ভিন্ন মত পরিলক্ষিত হলেও মোটামুটি মানান সই একটি সংজ্ঞা পাওয়া যায়। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময় বিজ্ঞানের যে সরল সংজ্ঞা জেনেছিলাম তাহলো, “ বিজ্ঞান অর্থ বিশেষ জ্ঞান, পরীক্ষা, নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান আর জ্ঞানার্জনের প্রক্রিয়াকে বিজ্ঞান বলে।”
উইকিপিডিয়ার মতেঃ ভৌত বিশ্বের যা কিছু পর্যবেক্ষণযোগ্য, পরীক্ষণযোগ্য ও যাচাইযোগ্য, তার সুশৃঙ্খল, নিয়মতান্ত্রিক গবেষণা ও সেই গবেষণালব্ধ জ্ঞানভাণ্ডারের নাম বিজ্ঞান।
UWP English- Bangla Dictionary অনুযায়ী বিজ্ঞানের সংজ্ঞা হলোঃ সুশৃংখল, সুবিন্যস্ত, পর্যবেক্ষণজাত ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার দ্বারা যাচাই কৃত জ্ঞান হলো বিজ্ঞান।
English & Bengali online Dictionary & Grammar অনুযায়ীঃ
Science বা বিজ্ঞান (ল্যাটিন শব্দ সায়েন্টিয়া থেকে যার অর্থ “জ্ঞান”) একটি নিয়মতান্ত্রিক উদ্যোগ যা মহাবিশ্ব সম্পর্কে পরীক্ষামূলক ব্যাখ্যা এবং ভবিষ্যদ্বাণীগুলির আকারে জ্ঞান তৈরি করে এবং সংগঠিত করে।
অথবা
বিজ্ঞান হলো প্রাকৃতিক জিনিসের প্রকৃতি ও আচরণ এবং আমরা সেগুলি সম্পর্কে যে জ্ঞান অর্জন করি তা অধ্যয়ন করা।
আরো অন্যান্য উৎস থেকে আমরা বিজ্ঞানের যে সংজ্ঞা পাই, তা অনেকাংশ একইরকম বিধায় তার আর পুনরাবৃত্তি করা হলোনা।
বিজ্ঞানের এই সংজ্ঞা গুলো থেকে একটি জিনিস পরিস্কার, বিজ্ঞান হলো ভৌত বিষয় বা প্রকৃতি সম্পর্কে অর্জিত জ্ঞান।
আমাদের এই অনুসিদ্ধান্ত পরবর্তী আলোচনাতে কাজে আসবে ইন শা আল্লাহ।
এবার একটু বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া নিয়ে আলোকপাত করা যাকঃ
কোনো ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একজন বিজ্ঞানীর মনে কোনো চিন্তার উদ্রেক হয়, এবং প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে তিনি তার চিন্তার সপক্ষে কিছু প্রমাণ পেয়ে যান। তখন তিনি তার চিন্তাকে একটি প্রস্তাবনা আকারে পেশ করেন, একে বলে প্রকল্প বা হাইপোথিসিস (Hypothesis).
বিজ্ঞানীরা এই প্রকল্প বা হাইপোথিসিস নিয়ে আরো বিশদ গবেষনায় মনোনিবেশ করেন, যদি তারা এর সপক্ষে পর্যবেক্ষণ লব্ধ আরো বিশদ প্রমাণ পেয়ে যান তখন একে তত্ত্ব (Theory) বলে। তখন তারা এই তত্ত্বকে তথ্য এবং উপাত্ত সহ বৈজ্ঞানিক মহলে পেশ করেন। তিনি এই তত্ত্বকে ভুল প্রমাণ করার পদ্ধতিও বাতলে দেন।
বৈজ্ঞানিক মহল তার তত্ত্বকে তার দেয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে নিরীক্ষা করেন। নিরীক্ষায় উৎরে গেলে একে প্রায়োগিক সত্য হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। যতদিন না এই তত্ত্বের বিপরীত কোনো সত্য আবিস্কৃত হয়, ততদিন পর্যন্ত এই তত্ত্ব সঠিক হিসাবে পরিগণিত হয়। এখানে প্রনিধান যোগ্য যে, অনেক তত্ত্ব বৃহৎ সত্যের মুখোমুখি হয়ে ত্রুটিযুক্ত প্রমাণিত হলেও মানুষ তার সুফল তখনো ভোগ করতে পারে, তবে সুফল ভোগ করে বিধায় ভুল তত্ত্বকে সত্য বলা যায়না।
উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় , টলেমীর পৃথিবী কেন্দ্রীক ( Geocentric) সৌরজগতের মডেল হাজার বছর ধরে সত্য বলে জানত, এই তত্ত্ব থেকে মানুষ তখন উপকৃতও হয়েছে। কোপার্নিকাসের সুর্য কেন্দ্রীক ( Heliocentric) সৌরজগতের মডেল আবিস্কৃত হওয়ার পর টলেমীর পৃথিবী কেন্দ্রীক মডেল ভুল প্রমাণিত হয়। কিন্তু ব্যাবহারিক প্রেক্ষাপটে আজো এই তত্ত্ব উপকারী। নৌ জ্যোতির্বিদ্যা ( Nautical Astronomy) এই তত্ত্বের উপরেই প্রতিষ্ঠিত, জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে এখনো তা ব্যবহৃত হচ্ছে।
বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় যে, পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষা ও নিরীক্ষার মাধ্যমে সত্যকে জানার পদ্ধতি, আলা-কুরানুল কারীমে আল্লাহ সুবহানুতাআ’লা বহু স্থানে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে সত্যকে বুঝতে বলেছেন, নীচের আয়াতগুলো তেমনি আয়াতঃ
فَلْيَنظُرِ الْإِنسَانُ مِمَّ خُلِقَ
অতএব, মানুষের দেখা উচিত কি বস্তু থেকে সে সৃজিত হয়েছে।
خُلِقَ مِن مَّاء دَافِقٍ
সে সৃজিত হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি থেকে।
يَخْرُجُ مِن بَيْنِ الصُّلْبِ وَالتَّرَائِبِ
এটা নির্গত হয় মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্য থেকে।
(সুরা তারেকঃ আয়াত ৫-৭)
এবার আসা যাক যুক্তি কি? এই আলোচনায়। যুক্তিরও চিরন্তন কোনো সংজ্ঞা নেই। নানা জন নানা ভাবে যুক্তিকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন, নিম্নে কয়েকটি সংজ্ঞা আলোচিত হলোঃ
উইকিপিডিয়ার মতে, যুক্তি হলো কারনের আধার, পদ্ধতিগত ভাবে অনুমিতি ( Inference) অধ্যয়নের সঠিক নিয়মাবলী হলো যুক্তি।
Oxford Advanced Learners Dictionary অনুযায়ী যুক্তি (Logic) হলো কোনো কিছু নিয়ে চিন্তা করা ও ব্যাখ্যা করার পদ্ধতি (a way of thinking or explaining something)।
Merrium webstar Dictionary অনুযায়ী যুক্তি ( Logic) হলো ঘটনা বা বাস্তবতার পরম্পরা বা পারস্পরিক সম্পর্ক যা অবশ্যম্ভাবী অবস্থা অথবা পরিণতি বর্ণনা করে (interrelation or sequence of facts or events when seen as inevitable or predictable)
Cambridge Dictionary মতে যুক্তি (Logic)) হলো চিন্তার একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি যা কার্যকারন সম্মৃদ্ধ ও ভালো বিচার-বুদ্ধির ওপর নির্ভর করা। (a particular way of thinking, especially one that is reasonable and based on good judgment)
যুক্তি’ শব্দটি ‘যুক্ত’ শব্দ থেকে এসেছে। কোনো একটি ঘটনাকে অন্য একটি ঘটনার সাথে যুক্ত করাকে বলে ‘যুক্তি’।
যেমন,
(ছেলেটি সারাদিন টিভি দেখতো,) ‘তাই’ (সে এখন চোখে কম দেখে।)
এ বাক্যে, ‘টিভি দেখা’ ঘটনাটির সাথে ‘চোখে কম দেখা’ ঘটনাটিকে যুক্ত করে নতুন যে একটি বাক্য তৈরি করা হলো, এটাকেই যুক্তি বলে।
একজন মানুষ পৃথিবীর যতবেশী ঘটনাকে পরস্পর যুক্ত করতে পারেন, তিনি ততবড় যুক্তিবাদী। (জুবাইর আল মাহমুদের ব্লগ)
অপর এক সংজ্ঞায় দেখা যায়,
যুক্তি হলো এমন বচন সমষ্টি যেখানে একটি বচনের সত্যতা একক বা একাধিক সত্যতার উপর নির্ভর করে বলে দাবি করা হয় ।
উদাহরন – ক) সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব
:- সকল শিক্ষক হয় মরণশীল জীব
(উচ্চ মাধ্যমিক যুক্তি বিদ্যা)
উপরোক্ত নানাবিধ সংজ্ঞার আলোকে আমরা বলতে পারি, যুক্তি হলো কার্য কারন ও বিচার বুদ্ধি প্রভাবিত বিবৃতি যা মিথ্যা থেকে সত্য কে পৃথক করে, অথবা একটি ঘটনা বা চেতনার বাস্তব অবস্থা বর্ণনা করে।
আল্লাহ মানুষকে বোঝাতে যুক্তির অবতারনা করেন, তিনি বলেনঃ
مَّا الْمَسِيحُ ابْنُ مَرْيَمَ إِلاَّ رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِن قَبْلِهِ الرُّسُلُ وَأُمُّهُ صِدِّيقَةٌ كَانَا يَأْكُلاَنِ الطَّعَامَ انظُرْ كَيْفَ نُبَيِّنُ لَهُمُ الآيَاتِ ثُمَّ انظُرْ أَنَّى يُؤْفَكُونَ
মরিয়ম-তনয় মসীহ রসূল ছাড়া আর কিছু নন। তাঁর পূর্বে অনেক রসূল অতিক্রান্ত হয়েছেন আর তার জননী একজন ওলী। তাঁরা উভয়েই খাদ্য ভক্ষণ করতেন। দেখুন, আমি তাদের জন্যে কিরূপ যুক্তি-প্রমাণ বর্ননা করি, আবার দেখুন, তারা উল্টা কোন দিকে যাচেছ।
(সুরা মায়েদাঃ আয়াত নং-৭৫)
বিশ্বাস, বিজ্ঞান ও যুক্তি নিয়ে উপরোক্ত আলোচনাকে ভিত্তি ধরে আমরা স্রষ্টা তথা ধর্ম বিশ্বাস কে যাচাই করব ইন শা আল্লাহ।
(চলবে)