Saturday, December 7, 2024
No menu items!

আমাদের মুসলিমউম্মাহ ডট নিউজে পরিবেশিত সংবাদ মূলত বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সমাহার। পরিবেশিত সংবাদের সত্যায়ন এই স্বল্প সময়ে পরিসরে সম্ভব নয় বিধায় আমরা সৌজন্যতার সাথে আহরিত সংবাদ সহ পত্রিকার নাম লিপিবদ্ধ করেছি। পরবর্তীতে যদি উক্ত সংবাদ সংশ্লিষ্ট কোন সংশোধন আমরা পাই তবে সত্যতার নিরিখে সংশোধনটা প্রকাশ করবো। সম্পাদক

হোমদৈনন্দিন খবরবেড়েছে চাল ডাল তেল মুড়ির দাম

বেড়েছে চাল ডাল তেল মুড়ির দাম

লিগলির মুদি দোকান কিংবা বাজারের বড় দোকান তপ্ত দুপুরে থাকে ক্রেতাশূন্য। বিক্রেতারা এই ফাঁকে দুপুরের খাবার সারতে চলে যান দোকান ছেড়ে অন্য কোথাও। কিন্তু এখনকার ছবি পুরোটাই আলাদা। এখন সকাল, দুপুর, বিকেল এক ফ্রেমেই বাঁধা। দোকানে দোকানে ক্রেতার ভিড় সমানতালে। করোনাকালে সরকারের কঠোর বিধি-নিষেধের দিনে সবজি, মাছ-মাংসের বাজার, মুদি দোকান—সবখানেই বেড়েছে ক্রেতার আনাগোনা। দম ফেলারও যেন সময় নেই দোকানির। ক্রেতার এই চাপের সুযোগ নিয়ে সরবরাহ সংকট দেখিয়ে কিছু পণ্যের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে চাল, ডাল, তেলসহ বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম খুচরা বাজারে বেড়েছে। একই অবস্থা সবজির বাজারেও। তবে বিপরীতে কয়েকটি পণ্যের দাম কমেছে। এর অন্যতম মুরগি। প্রায় দুই মাস ধরে চলা মুরগির বাজারের অস্বস্তি কিছুটা কমেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, কঠোর বিধি-নিষেধের কারণে বাজারের সময় কমিয়ে আনায় আগে রাতে যারা বাজার করত তারাও দুপুরের মধ্যে কেনাকাটা করে বাসায় ফিরছে। বিকেলের দিকে আসছে ব্যাংকিংসহ অন্যান্য কাজে যারা বের হয়েছিল। ফলে ৪টার আগ পর্যন্ত ক্রেতার ভিড় থাকছে সমান হারে। আগে দুপুরে যেমন বাজার ঝিমিয়ে পড়ত, এখন আর তেমন হচ্ছে না।

তবে এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছে কর্মজীবী ক্রেতারা। বিশেষ করে পোশাক কারখানাসহ বেসরকারি কিছু প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীরা। তারা বলছে, সকালে সময় না পেয়ে যারা কাজ থেকে ফেরার পথে সন্ধ্যায় বাজার করে বাড়ি ফিরত, এখন তারা তা পারছে না। বিকেল ৪টার পর বাজার বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে খুব সকালে।

গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সব দোকানেই ক্রেতার ভিড়। তবে তাদের কেনাকাটা স্বাভাবিক। দোকানগুলোতে নেই পণ্যের ঘাটতি। ক্রেতাদের অভিযোগ, অনেক পণ্যের দাম বেশি রাখা হচ্ছে।

মুগদা বাজারের অন্যতম ব্যস্ত চালের দোকান মরিয়ম স্টোর। বাজারের কী অবস্থা, জানতে চাইলে মালিক ইসহাক বলেন, বাজার খুব গরম। চালের দাম বেড়েছে। বিশেষ করে চিকন চালের দাম কেজিতে দুই টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

অন্য দিন হলে দোকানের কর্মচারী আলমগীর আগ বাড়িয়েই কথা বলতেন, কিন্তু গতকাল বিক্রির ব্যস্ততায় কথা বলার সুযোগই পেলেন না। এই অবস্থা বাজারের অন্যান্য চাল, মুদি, মাছ, সবজিসহ সব দোকানেই।

দক্ষিণ মুগদা বাজারের মেসার্স রিয়াজ অ্যান্ড সন্সের বিক্রেতা কামরুল জানান, কয়েক দিন আগেও ভালো মানের কাটারিভোগ চালের (উৎসব ব্র্যান্ড) ২০ কেজির প্যাকেট এক হাজার ৩৭০ টাকায় বিক্রি করা গেছে। সেই হিসাবে কেজিপ্রতি চাল ৬৮ থেকে ৬৯ টাকা পড়ত। এখন সেই প্যাকেট এক হাজার ৪৪০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। সে হিসাবে প্রতি কেজির দাম পড়ছে ৭২ টাকা। রাবেয়া ব্র্যান্ডের নাজিরশাইল চাল প্রতি কেজি ৬৪ টাকায় বিক্রি করা গেলেও এখন ৬৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে রাজধানীর বাজারগুলোতে গত সপ্তাহের এই সময় যে চাল ৪৫ থেকে ৪৭ টাকা ছিল গতকাল তা বিক্রি হয়েছে ৪৬ থেকে ৫২ টাকায়। চিকন চালের দাম বেড়েছে এক থেকে দুই টাকা। মাঝারি মানের চালের দাম বেড়েছে দুই থেকে চার টাকা।

মুগদা বাজারের সবজি বিক্রেতা আনোয়ার বলেন, ‘কঠোর বিধি-নিষেধের খবরে কয়েক দিন বাড়ি ফেরা মানুষের চাপে পণ্যের গাড়ি আসতে পারেনি। ফলে দাম বেড়ে গিয়েছিল। এখন কিছুটা কমে আসছে।’

এদিকে দুই দিন আগেও আলুর সর্বোচ্চ দাম ছিল ২০ টাকা, এখন ২৫ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে এখন ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় উঠেছে। অথচ এখন চলছে আলু ও পেঁয়াজের মৌসুম।

গত সপ্তাহের এ সময় ১১৯ থেকে ১২৫ টাকায় বিক্রি হওয়া খোলা সয়াবিন তেলের লিটার এখন ১২১ থেকে ১২৫ টাকা। রোজা সামনে রেখে অন্যতম চাহিদার পণ্য মুড়ির দাম কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা বেড়ে এখন প্রতি কেজির দাম ৭০ থেকে ৭৫ টাকা।  তবে মাস দুয়েক অস্বস্তিতে থাকা মুরগির দাম কমে এসেছে। ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালির কেজি কমেছে ৫০ টাকা। পাওয়া যাচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি দরে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

8 + 17 =

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য