সৈয়দপুর রেল স্টেশন থেকে ট্রেন চলাচল করলেও পার্শ্ববর্তী স্টেশনে যাওয়ার জন্য দেওয়া হচ্ছে না যাত্রী টিকিট। দীর্ঘদিন ধরে এসব গন্তব্যে টিকিট দেওয়া বন্ধ রয়েছে। তবে টিকিট না দিলেও যাত্রী চলাচল রয়েছে স্বাভাবিক।
জানা গেছে, সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে পার্শ্ববর্তী নীলফামারী, চিলাহাটি, ডোমার, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ীসহ আশপাশ এলাকার বিভিন্ন স্থানে ট্রেনে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু এসব স্থানের জন্য টিকিট দেওয়া হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে টিকিট ছাড়াই ট্রেনে উঠছেন অনেকে। ট্রেনে উঠে ভাড়ার ব্যাপারে তাদের পড়তে হচ্ছে বিপত্তিতে।
শহরের মিস্ত্রিপাড়া এলাকার আমিনুর রহমান (৩৫) বলেন, ‘বিভিন্ন প্রয়োজনে সৈয়দপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে আমাকে যেতে হয় চিলাহাটিতে। যাওয়া কিংবা আসার সময় টিকিট পাওয়া যায় না। ফলে ট্রেনে উঠে ভাড়া পরিশোধ করলেও রশিদ পাওয়া যায় না। আর রশিদের কথা বললেই ভয়ভীতি দেখানো হয়।’ স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, পার্শ্ববর্তী নীলফামারী, ডোমার, চিলাহাটি এবং দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর, ফুলবাড়ী, বিরামপুর যাওয়ার টিকিটের জন্য কাউন্টারে ভিড় করেন যাত্রীরা। এ সময় টিকিট কাউন্টার থেকে জানানো হয় এসব স্থানে যাওয়ার টিকিট বরাদ্দ নেই।
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার রেজাউল হক ও মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে যাব। কিন্তু টিকিট পাচ্ছি না। বাধ্য হয়ে ট্রেনে উঠে টিটিকে টাকা দিয়ে যেতে হবে।’ এ বিষয়ে সৈয়দপুর রেল স্টেশনের বুকিং অফিস সূত্র জানায়, সৈয়দপুর থেকে নীলফামারী তিতুমীর ও বরেন্দ্র ট্রেনের ভাড়া ৪৫ টাকা, ডোমার ও চিলাহাটি পর্যন্ত ৫৫ টাকা এবং নীলসাগর, সীমান্ত ও রূপসার ভাড়া ৫০ ও ৬৫ টাকা। অপরদিকে, পার্বতীপুর পর্যন্ত তিতুমীর ও বরেন্দ্র ট্রেনের ভাড়া ৪৫ টাকা এবং ফুলবাড়ী ও বিরামপুর ৫৫ টাকা। নীলসাগর ও রূপসা ট্রেনের ভাড়া পার্বতীপুর ৫০ টাকা, ফুলবাড়ী ৬৫ টাকা এবং বিরামপুর ৮৫ টাকা।
সৈয়দপুর স্টেশন মাস্টার এস এম শওকত আলী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির শুরুতে বেশ কিছুদিন স্টান্ডিং টিকিট বন্ধ ছিল। এর পর চালু হলেও গত ২০ জানুয়ারি থেকে আবারও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা না থাকায় আসন বরাদ্দের বাইরে কোনো টিকিট বিক্রি করতে পারছি না।’ তিনি আরো জানান, বিনা টিকিটের যাত্রীরা ট্রেনে টিকিট নিতে চাইলে জরিমানা প্রদান করতে হয়। সে জরিমানার পরিমাণ গন্তব্যের ভাড়ার সমপরিমাণ।
ইত্তেফাক/এসসিএস