লোকেরা চাঁদ দেখতে ভুল করলে |
بَابٌ إِذَا أَخْطَأَ الْقَوْمُ الْهِلَالَ |
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، فِي حَدِيثِ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، ذَكَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِ قَالَ: وَفِطْرُكُمْ يَوْمَ تُفْطِرُونَ، وَأَضْحَاكُمْ يَوْمَ تُضَحُّونَ، وَكُلُّ عَرَفَةَ مَوْقِفٌ، وَكُلُّ مِنًى مَنْحَرٌ، وَكُلُّ فِجَاجِ مَكَّةَ مَنْحَرٌ، وَكُلُّ جَمْعٍ مَوْقِفٌ صحيح |
২৩২৪। আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যেদিন তোমরা সওম সমাপ্ত করবে সেদিন তোমাদের ঈদের দিন। আর যেদিন তোমরা কুরবানী করবে সেদিন তোমাদের ঈদুল আযহার দিন। ‘আরাফাহর পুরোটাই অবস্থানের জায়গা। ‘মিনার পুরাটাই কুরবানীর স্থান, মক্কাহর প্রতিটি অলিগলিই কুরবানীর স্থান এবং গোটা ‘মুযদালিফার’ এলাকাই অবস্থানস্থল।[1]সহীহ। [1]. তিরমিযী, ইবনু মাজাহ। * এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়: ১। এই হাদীসটির দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, যে কোনো ঈমানদার মুসলিম ব্যক্তি যে কোনো মুসলিম সমাজে মুসলিমগণের সাথেই রোজা পালন করতে শুরু করবে, এবং তাদের সাথেই ঈদুল ফেতর পালন করার জন্য রোজা রাখা ভঙ্গ করবে। তদ্রূপ তাদের সাথেই ঈদুল আদহার কুরবানি জবাই করবে। এবং তাদের সাথেই ঈদ পালন করবে। আর কোনো ঈমানদার মুসলিম ব্যক্তির জন্য এটা জায়েজ নয় যে, সে যে কোনো মুসলিম সমাজে মুসলিমগণকে বাদ দিয়ে নিজে একাই একতরফাভাবে রোজা পালন করবে অথবা ঈদ পালন করবে কিংবা ঈদুল আদহার কুরবানি জবাই করবে। কেননা যে কোনো মুসলিম সমাজে মুসলিমগণের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখা অপরিহার্য এবং তাদের মধ্যে থেকে অনৈক্য, পার্থক্য এবং দ্বন্দ্ব দূরে রাখাও একটি অনিবার্য বিষয়। ২। এই হাদীসটির দাবি অনুযায়ী এই বিষয়টি প্রমাণিত হয় যে, প্রকৃত ইসলামের বিধিবিধানের একটি লক্ষ্য হলো মুসলিম সমাজের মধ্যে ঐক্যের বন্ধন রক্ষা করা, মুসলিমগণকে একত্রিত করে রাখা, তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে রাখা। বিশেষ করে মুসলিম সমাজে মুসলিমগণকে ইবাদত উপাসনা, রোজা, কুরবানি এবং ঈদের নামাজের বিষয়ে একত্রিত করা ও তাদের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখা অপরিহার্য। তাই এই সমস্ত ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত মতামতের কোনো মূল্য নেই। যদিও প্রকৃতপক্ষে সেই ব্যক্তিগত মতামতগুলি বিশেষভাবে কোনো দিক দিয়ে সত্য ও সঠিক বলে মনে হয়। |